২৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৮:২৬

বাবুগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:

বাবুগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের অভিযোগ

বরিশালের বাবুগঞ্জে এক কোটি ১৪ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ কৌশল করে বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুর একটায় বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত লটারিতে উপজেলা চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন স্বপনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেছেন সাধারণ ঠিকাদাররা। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বাবুগঞ্জ উপজেলা ত্রান ও পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হানিফ সিকাদার জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চারটি বক্স কালভার্ট নির্মান কাজের দরপত্রের লটারি ছিল সোমবার। ২৬ ফুট, ৩০ ফুট, ৩৪ ফুট এবং ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ওই ৪টি বক্স কালভার্ট নির্মানের জন্য মোট বরাদ্দ এক কোটি ১৪ লাখ টাকা। সোমবার দুপুরে লটারির মাধ্যমে চার প্রতিষ্ঠান চারটি কাজ পেয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে কাজ দেয়া হয়।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, উপজেলা চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন স্বপন তার পছন্দের চারজন ঠিকাদার আগে ঠিক করে রাখেন। লটারির আগে তার (উপজেলা চেয়ারম্যান) কার্যালয়ে চার ঠিকাদার আগেই নির্বাচন করেন খালিদ হোসেন। পরে তাদের মধ্য থেকে একজনকে দিয়ে লটারি করান তিনি। লটারিতে অন্য গুটি উঠলেও তার পছন্দের লোকের নাম বলে সেটাই রেজিস্ট্রারে লেখান তিনি। লটারির সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আড়ালে রাখেন তিনি। দুই-একজন ঠিকাদার এর প্রতিবাদ করলেও কাজে আসেনি। কয়েকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গুটি দেখতে চাইলেও তাকে দেখানো হয়নি।

ওই দরপত্রে অংশগ্রহনকারী ঠিকাদার ও শ্রমিক লীগ নেতা কাজী লিটন অভিযোগ করেন, তার জীবনে এভাবে লটারি করতে দেখেননি। উপজেলা চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন স্বপন আগে-ভাগেই কাজ ভাগ করে দিয়েছেন। নামমাত্র একটা লটারি হয়েছ। গুটি যা-ই উঠেছে আগে ঠিক করে রাখা চার ঠিকাদারের নাম বলা হয়েছে। তিনি এর প্রতিবাদ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গুটি দেখতে চান। কিন্তু তাকে না দেখিয়েই গুটি রেখে দেওয়া হয়।

বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, প্রশাসনের কেউ লটারি করলে প্রশ্ন উঠতে পারে। এ জন্য ঠিকাদার প্রতিনিধি দিয়ে লটারি করা হয়েছে। তিনি গুটি দেখতে চেয়েছেন, এটা ঠিক। পরে তাকে গুটি দেখানো হয়েছে। এতে তেমন কোন অনিয়ম হয়নি বলে দাবি তার।

অভিযোগ সম্পর্কে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন স্বপন বলেন, সবার উপস্থিতিতে লটারি হয়েছে। লটারি করেছে প্রশাসন। তিনি কেবল সেখানে বসে ছিলেন। দুই-একজন ঠিকাদার আপত্তি দিতেই পারে। তবে স্বচ্ছভাবে লটারি হয়েছে।


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর