শেরপুরের নকলায় স্কুল সভাপতি কর্তৃক শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার প্রতিবাদসহ বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ন খোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা ২১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পাঠদান বর্জন ও কর্মচারীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। আজ তৃতীয় দিনের মতো চলছে তাদের পাঠদান বর্জন ও কর্মবিরতি। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্কুলের ৯শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে নতুন বছরে নতুন বই পড়ার আনন্দ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
জানা গেছে, কয়েক যুগ ধরে চলে আসা নিয়মানুযায়ী স্কুলের আয় হতে শিক্ষক কর্মচারীদের বেসরকারি বেতনের অংশসহ সব ধরনের বেসরকারি ভাত দেওয়া হয়। কিন্তু গত বছরের মে মাস হতে তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম। শিক্ষক কর্মচারীরা কয়েকবার প্রধান শিক্ষকের কাছে তাদের ন্যায্য পাওনার দাবি জানালেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। ৭ জানুয়ারী শনিবার স্কুল অফিসের স্টাফ মিটিংয়ে সবার পক্ষে ওই স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক সাইফুল ইসলাম সেলিম তাদের ন্যায্য দাবির কথা নব-নির্বাচিত সভাপতি শরিফ উজ্জামান রিপনকে জানালে পাওনা চাইতেই সভাপতি তার সাথে অশালীন আচরণ করাসহ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। শিক্ষকরা এ বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালেও কোন সুরাহা না পেয়ে ২১ জানুয়ারী থেকে সকল শিক্ষকরা পাঠদান বর্জন এবং কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে আছেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী জানান, যত দিন পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার ও বকেয়া বেতন ভাতা দেওয়া না হবে, তত দিন পর্যন্ত তাদের পাঠদান বর্জন ও কর্মবিরতি চলবে। তারা বিষয়টি ২২ জানুয়ারি রবিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রধান শিক্ষক বেসরকারি বেতন ভাতা বন্ধের কথা স্বীকার করে বলেন, টাকা প্রাপ্তি ও কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে সব বকেয়া দিয়ে দেওয়া হবে। সভাপতি শিক্ষকের সাথে অশালীন আচরণের কথা অস্বীকার করে বলেন, সেলিম সাহেবের সাথে পক্ষে বিপক্ষে দুই একটি কথা হলেও গালাগালি করার মতো কিছু হয়নি।বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার