২৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৭:৫১

কুনিও হোশির হত্যাকারীকে শনাক্ত করলেন প্রত্যক্ষদর্শী

অনলাইন ডেস্ক

কুনিও হোশির হত্যাকারীকে শনাক্ত করলেন প্রত্যক্ষদর্শী

রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করেন জেএমবির রংপুরের আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কুনিও হোশিকে বহনকারী রিকশাওয়ালা আব্দুল মোন্নাফ ও ঘটনাস্থলের চা দোকানি আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে শনাক্ত করেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা।

তিনি বলেন, আব্দুল মোন্নাফ তার সাক্ষ্যে বলেন, প্রতিদিন কুনিও হোশিকে তার জাপানি কয়েল ঘাসের খামারে নিয়ে যেতেন তিনি। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কুনিওকে নিয়ে আলুটারি গ্রামের পাকা রাস্তা থেকে নেমে খামারে যাওয়ার পথে মাসুদসহ তিনজন রিকশাটি আটক করে। এরপর মাসুদ পিস্তল বের করে কুনিওকে কাছে থেকে দুটি গুলি করে। তখনই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন ওই জাপানি। এরপর তিনজন লাল রংয়ের একটি মোটরসাইকেলে করে হারাগাছের দিকে চলে যায়। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন আরেকজন।

রথীশ বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানি আব্দুল্লাহ আল মামুন আদালতে জানিয়েছেন, লাল রংয়ের মোটর সাইকেলে করে তিনজন যুবক এসে মাহিগঞ্জ-হারাগাছ সড়কে অপেক্ষা করছিলেন। মোন্নাফের রিকশায় কুনিও এলে তারা রিকশাটি আটক করে। এরপর তিনি কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান এবং ওই তিনজনকে দ্রুত মোটর সাইকেলে উঠে হারাগাছের দিকে চলে যেতে দেখেন। এ সময় কুনিও মাটিতে পড়ে ছিল।

যে বাড়ির সামনে কুনিওকে গুলি করা হয় সেই বাড়িওয়ালার ছেলে মাইদুল ইসলাম মুরাদ, একই এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ও আরশাদ হোসেনও এদিন সাক্ষ্য দেন।এ নিয়ে তিন দফায় মামলার বাদীসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। মামলায় আরও ৪৫ জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ৬৬ বছর বয়সী জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি। তিনি ওই এলাকায় ঘাসের খামার করতেন। এ হত্যা মামলায় গত বছরের ১০ জুলাই জেএমবির আট সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় কারাগারে থাকা আসামি জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা, সদস্য ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়।

পলাতক আসামিদের মধ্যে দু'জন এরইমধ্যে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন। সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল গত ৫ জানুয়ারি রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবং নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল ওরফে হাসান গত বছরের ২ অগাস্ট ভোরে রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। অপর আসামি আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব এখনও পলাতক রয়েছেন।


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর