শিরোনাম
২৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৯:১৩

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে পেটানোর অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে পেটানোর অভিযোগ

ক্লাস রুটিনে প্রধান শিক্ষককে ইংরেজি ক্লাস দেওয়ায় এক সহকারি শিক্ষককে পিটিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। গত সোমবার সকাল ১১ টায় সদর উপজেলার দীপশিখা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষককে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মারধরের শিকার দীপশিখা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (বিএসসি) ভবানন্দ পাল অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তাকে চলতি বছরের শিক্ষকদের ক্লাস রুটিন করার দায়িত্ব দেন প্রধান শিক্ষক অহিদুল হক। যথারীতি সহকারি শিক্ষক ভবানন্দ পাল রুটিন তৈরি করে বিভিন্ন শিক্ষকের কর্ম বন্টন করেন। সেই রুটিনে প্রধান শিক্ষক অহিদুল হককে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস দেওয়া হয়। এতে ওই শিক্ষক রুটিন দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং  ভবানন্দ পালকে শার্টের কলার ধরে মারধর শুরু করেন। এ সময় আব্দুল বাতেন, আনন্দ শর্মা, নজরুল ইসলাম ও ক্লার্ক মখলেসুর রহমানও ভবানন্দ পালকে ধরে তার মাফলার দিয়ে গলায় প্যাচ দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে এলোপাথারী মারধোর করে। এসময় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে উত্তেজিত শিক্ষকদের কাছে থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে। পরে প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষকের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার জন্য অন্যান্য শিক্ষকদের নির্দেশ দেয় বলেও অভিযোগ করে ভবানন্দ পাল।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ছাড়া পেয়ে ভবানন্দ পাল স্কুল ছেড়ে ঠাকুরগাঁও শহরে ছুটে আসেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তাকে মারধোরের মৌখিক অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে রুহিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ব্যাপারে ওসি খাঁন মোঃ শাহরিয়ার জানান, লাঞ্চিত শিক্ষকের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষনিকভাবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের উপজেলায় ডেকে পাঠান এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পারভীন আকতার বানুর উপস্থিতিতে মৌখিক জবানবন্দী গ্রহণ করেন। তবে জেলা শিক্ষা অফিসার না থাকায় তিনি কোন সিদ্ধান্ত দেননি।

অপরদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহিন আকতার জানান, তিনি জরুরী কাজে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে খবরটি তিনি জানতে পেরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারভীন আকতার বানুকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অহিদুল হক ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করেন।

 

বিডি প্রতিদিন/২৪ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর