জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোঃ আনোয়ারুল আলমের বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ে নিবন্ধনের আভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুর রেজ্জাক গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নে কর্মরত নিকাহ রেজিস্ট্রার আনোয়ারুল আলমের রেকর্ড পরিদর্শনকালে কম বয়সী কনের বিবাহ নিবন্ধনসহ আরও কিছু অনিয়ম দেখতে পান।
এ বিষয়ে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা এই মর্মে গত ৩ দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য গত ৩০ জানুয়ারি ৫৮ নং স্মারকে পত্র দেয়া হলেও কাজী আনোয়ারুল আলম নির্ধারিত সময়ে কোন জবাব দেননি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কাজী আনোয়ারুল আলম কর্তৃক গত ০১-০১-১৬ তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ৬/১৬ নং বিবাহের কনে ফিরোজা খাতুনের জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ১৫-০৩-১৯৯৮, সেইমতে কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হতে দুই মাস কম ছিলো। গত ০৬-০১-১৬ তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ১৩/১৬ নং বিবাহের কনে মুশরেফা খাতুনের জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ১৮-০১-১৯৯৮, এখানেও কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হতে পনেরো দিন কম ছিলো।এছাড়া গত ২৬-০১-১৬ তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ৩৮/১৬ নং বিবাহের কনে রুবিয়া খাতুনের জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ২২-০৩-১৯৯৮, ২০-১১-১৬ তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ৫০৩/১৬ নং বিবাহের কনে মিতু খাতুনের জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ১৩-০১-১৯৯, ০১-০১-১৬ তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ৬/১৬ নং বিবাহের কনে ফিরোজা খাতুনের জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ১৫-০৩-১৯৯৯, অথচ মিতু’র জন্ম নিবন্ধন সনদে উল্লেখিত জন্ম তারিখ ১৩-০১-২০০২।
এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে কাজী আনোয়ারুল আলম জানান, নিকাহনামাতে উল্লেখিত জন্ম তারিখ ভুলক্রমে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে মর্মে এবারের মত ক্ষমা চেয়ে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবরে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল