২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৮:৩৩

সিরাজগঞ্জে চৌহালী রক্ষা বাঁধে ধস

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে চৌহালী রক্ষা বাঁধে ধস

শুষ্ক মৌসুমেও যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতের কারণে ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চৌহালী রক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁধের টাঙ্গাইলের নাগরপুর অংশের খাসশাহজানী (খগেন ঘাট) এলাকায় আকস্মিক এ ধসে নামে। এতে বাঁধের প্রায় ৩৬ মিটার এলাকার সিসিব্লক ও জিওব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, নদীর তলদেশে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজে ফাঁকি-অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এই ধস নেমেছে।

এদিকে, অসময়ে শহর রক্ষা বাঁধে ধস নামায় এলাকাবাসীর মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পাউবো বলছে, আতঙ্কের কিছু নেই।

জানা যায়, চৌহালী রক্ষায় ২০১৬ সালে টাংগাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খাসকাউলিয়া থেকে আটাপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহন করা হয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১ঃ৩ হারে ঢালু (স্লোপ) করে নদীর পানির স্তর থেকে পার পর্যন্ত বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বসানো হয়। যাতে স্রোতের আঘাত থেকে অস্থায়ীভাবে নদীর পাড় ভাঙনরোধ হয়। বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ে নদী পাড়ের ঢালুতে সিসি ব্লক বিছিয়ে স্থায়ী ভাঙনরোধ কাজ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে খগেন ঘাট এলাকায় ধন নামে। এতে ৩৬ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাঁধের তলদেশে সঠিকভাবে ভাবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করা এবং সিডিউল অনুযায়ী উন্নত-প্রযুক্তি ব্যবহার না করে যেনতেন ভাবে কাজ করায় এ এ ঘটনা ঘটেছে।

তবে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বিভাগেরর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বলেন, ধসে যাওয়া পয়েন্টে পানির গভীরতা প্রায় ১৯ মিটার। এ পয়েন্টের পশ্চিম প্রান্তে চর পড়ায় পানি সরাসরি পুর্ব প্রান্তে বাঁধ এলাকায় আঘাত হানছে। পানির প্রচণ্ড চাপের কারণে নীচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এ ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও কাজের গুণগত মান ভাল হয়েছে বলেও এই কর্মকর্তা দাবি করেছেন।

বিডি-প্রতিদিন/২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর