মেহেরপুরের গাংনী পৌর শহরে আদালতের নিষেধাজ্ঞাধীন জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের নামে জনসভা করেছেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম। এসময় বহুতল ভবন নির্মান থেকে সড়ে এসে তহহাট বা কিচেন মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার সকাল ১১ টার দিকে বিতর্কিত স্থানে অনুষ্ঠিত কথিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র নবির উদ্দিন, পৌর সচিব শামিম রেজাসহ কাউন্সিলররা। সংবাদ সম্মেলনে পৌর এলাকার দুই শতাধিক লোক জড়ো করেন তিনি।
পৌর সভার টেন্ডার নোটিশ থেকে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর কয়েকটি পত্রিকায় গাংনী পৌর এলাকার উন্নয়নমুলক কাজ ও রক্ষনাবেক্ষনের নামে ৩৩টি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে দরপত্র আহবান করা হয়। প্রথমত বহুতল ভবন বলে নির্মাণ কাজ শুরু করলেও চাপের মুখে বহুতল ভবন থেকে সরে এসে তহহাট (কিচেন মার্কেট) নির্মান বলে প্রকল্পের সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। অথচ যেখানে এই মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে ওই জমিতে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ( সিস্থিবস্থার আদেশ) দেওয়া আছে।ওই টেন্ডারের ২৭ নম্বর প্রকল্পের ২৮ লাখ টাকা ব্যায়ে বহুতল ভবন নির্মানের কথা বলা হলেও সংবাদ সম্মেলনের সময় বলা হয় তহহাট নির্মানে ব্যায় ধরা হয়েছে ৪৪ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে তাৎক্ষনিক প্রকল্পের কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হলে পরে দেওয়া হবে বলে আর দেওয়া হয়নি।
পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, নিজের জীবন থাকতে এই জমি কাউকে নিতে দেবনা। এ জমি পৌরসভার থাকবে। কেউ এসে দাবি করলেই তার হবেনা। আমি দির্ঘদিন রেজিস্ট্রি অফিসের সাথে যুক্ত ছিলাম । কিভাবে জমি জাল হয়, কিভাবে জমির পুরাতন কাগজ তৈরী করতে হয় তা আমার জানা আছে। তারপরও আদালতে যদি কারো জমি পাওনা হয় তাহলে তৈরিকৃত ভবনসহ তাকে দিয়ে দেওয়া হবে। পৌর মেয়র বলেন, এখানে দেড়শত বছর ধরে হাট বসছে। এতদিন কেউ এ জমি নিয়ে কোন দাবি না করলেও যখন মার্কেট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে তখন মৃত আজিম উদ্দিনের পরিবারের লোকজন দাবি করছে এই জমি তাদের।
মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ জমি নিয়ে আদালত স্থিতিবস্থার আদেশ দিয়েছেন। স্থিতিবস্থা মানে কাজ বন্ধ রাখা নয়, তাই কাজ করা হয়েছে। জমির কাগজ, মার্কেটের প্রকল্পের অনুমোদন ও টেন্ডারের সচ্ছতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বিডি প্রতিদিন/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল