নওগাঁর রাণীনগরে এই প্রথম বিনা চাষে রসুনের আবাদ শুরু করেছেন আতাইকুলা গ্রামের আব্দুল খালেক মৃধার ছেলে মাহফুজুর রহমান রকেট। জেলার মধ্যে তিনিই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বিনা চাষে এই রসুনের আবাদ শুরু করেছেন। তাকে দেখে আশেপাশের অনেক কৃষকই এই লাভজনক আবাদ করার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
কৃষক রকেট জানান, তিনি প্রথম বারের মতো তার মাত্র তিন বিঘা জমিতে এই রসুনের আবাদ করেছেন। চাষ সম্পর্কে তিনি জানান, আমন ধান কাটার পর জমি পানি দিয়ে একটু ভিজিয়ে নিয়ে সার ও ফসফেট দেওয়ার পর রসুনের ৪ ভাগের ১ ভাগ অংশ কাঁদার মাঝে রেখে খড় দিয়ে ভালো ভাবে ঢেকে দিতে হবে। এরপর রসুনের গাছ বের হলে পরিচর্যা শুরু করতে হবে স্বাভাবিক রসুন গাছের মতো। লাগানোর ৫ মাস পর রসুন উত্তোলনের যোগ্য হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে জমিতে আলাদাভাবে কোন চাষ দিতে হয় না। প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৪০ মণ পর্যন্ত রসুনের ফলন পাওয়া যায়। এতে অল্প পরিশ্রম ও খরচে দ্বিগুণ লাভ করা সম্ভব।
তিনি আরো জানান, অত্র জেলায় কেউ এই পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে রসুনের আবাদ করেনি। কিন্তু এটি অত্যন্ত লাভজনক একটি আবাদ। এবার আমার প্রতি বিঘায় রসুনের ফলন ৩০ থেকে ৪০ মণ হবে বলে আমি আশাবাদী। আমি আশা রাখি আমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এই লাভজনক আবাদ শুরু করবেন। একই গ্রামের কৃষক রসুল মিয়া জানান, এই প্রথম আমরা বিনা চাষে রসুনের আবাদ দেখলাম। আমরাও আগামীতে এভাবে রসুনের আবাদ শুরু করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম গোলাম সাওয়ার জানান, কৃষক রকেট লাভজনক ভালো একটি আবাদ শুরু করেছেন। এটি মূলত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিল এলাকার আবাদ। তবে এই আবাদে কম পরিশ্রম ও খরচে দ্বিগুন লাভ করা সম্ভব। কৃষক রকেটকে কৃষি অফিস এই বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ