পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বেনাপোল স্থলবন্দর। বন্দরে ওষুধ, অক্সিজেন ও উচ্চ পচনশীল পণ্যসহ খালাসের অপেক্ষায় এক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে।
বাংলাদেশ থেকে রফতানিযোগ্য কোন পণ্য বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসতে না পারায় ভারতে পণ্য রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ হযে গেছে। রবিবার বন্দরে আটকে পড়া বেশ কিছু পণ্য চালানের প্রায় ১ কোটি টাকার মাছ নষ্ট হযে গেছে, সেই সাথে নষ্ট হয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ টাকার পেঁয়াজ বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অক্সিজেনবাহী ট্রাক বন্দরে আটকা পড়ায় বিভিন্ন হাসাপাতালে অক্সিজেন সংকট’র দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, গত দু'দিনে বেনাপোল বন্দর থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকার রাজাস্ব আয় থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে বলে কাস্টম সূত্রে জানা গেছে। ধর্মঘট চললেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে শুধুমাত্র আমদানি বাণিজ্য সচল রয়েছে। বন্দর থেকে পণ্য লোড না হওয়ার কারনে বন্দর সড়কের দু’পাশে শত শত ট্রাক আটকা পড়েছে।ইন্ডিয়া বাংলাদেশে চেম্বার অব কমার্সের বন্দর সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, বন্দর শেডে কোন জায়গা না থাকায় বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ পণ্যজট। ফলে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপালে বন্দরে ৫ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে।
এছাড়া, বেনাপোল আটকে পড়া ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা রাতে বিভিন্ন উপায়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন বলে পরিবহন সূত্র জানান।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব