২৩ মার্চ, ২০১৭ ১৩:৪০

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ চাপা দেওয়া চেষ্টা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি


শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ চাপা দেওয়া চেষ্টা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হলেও এক বছরেও ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। পক্ষান্তরে অভিযোগসহ ওই শিক্ষকের দেয়া মুচলেকা ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল, যা বর্তমানে প্রকাশ হয়ে পড়েছে। এদিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় ওই পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন ছাত্রীদের শ্ললিতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক হেলাল উদ্দিন। এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে রাণীবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিন একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় তাদের শ্লীলতাহানি করেন। ওইসময় ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দিলেও বিগত এক বছরেও কোন সুরাহা মেলেনি। ফলে গত মঙ্গলবার অভিযোগপত্রগুলো বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের পাঠানো হয়েছে। 

অভিযোগে জানা যায়, গত বছরের ৭ এপ্রিল ৬ষ্ঠ শ্রেণীণির এক ছাত্রীর বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতে যান সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিন। এ সময় তাকে একা পেয়ে তিনি তার শ্লীলতাহানি ঘটান। ঘটনার পর ওই ছাত্রী তার মা-বাবাকে ঘটনার বিষয়ে জানালে ৮ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একই ধরণের অভিযোগ ওই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ১৩ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক বরাবর দাখিল করেন। কিন্তু সেই সময়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলম সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিযোগপত্রগুলো গোপন করে রাখেন। এদিকে ওই বছরের ১৪ আগস্ট হেলাল উদ্দিন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার দোষ স্বীকার করে একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন। সেটিও গোপন করে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য ওই অভিযুক্ত শিক্ষক হেলাল উদ্দিন আবেদন করেছেন। এনিয়ে অভিভাবক মহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 

এব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেন। অন্যদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজলে হোদা বিদ্যুত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযোগপত্রগুলো স্কুলে গোপন রাখা হয়েছিল, সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
 অভিযোগগুলোর বিষয়ে স্কুল কমিটির আলোচনা সভায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  

বিডি-প্রতিদিন/২৩ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর