২৩ মার্চ, ২০১৭ ১৪:১৮
এলাকাবাসীর অভিযোগ

'টাকা না দিলে এমপির হাতে উদ্বোধন হবে না'

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

'টাকা না দিলে এমপির হাতে উদ্বোধন হবে না'

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ঝাড়পাড়া এলাকায় সরকারি অর্থায়নে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ হলেও গ্রাহকরা উদ্বোধন অনুষ্ঠানের টাকা না দেওয়ায় সংযোগ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এজন্য উদ্বোধনের কথা বলে গ্রাহক প্রতি ১ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরেন ও পল্লী বিদ্যুৎ’র ওয়ারিং মিস্ত্রি মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, সদর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের ঝাড়পাড়া এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ এর মিটার জামানতের জন্য ৬৫০ টাকা প্রয়োজন হলেও ৯৪ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ২০১১ সালে মিটার বাবদ ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা করে নেয় স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরেন চন্দ্র ও পল্লী বিদ্যুৎ’র ওয়ারিং মিস্ত্রি মশিউর রহমান। দীর্ঘদিন টালবাহানার পর ওই সকল গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ওয়ারিং ও পোল নির্মান করা হয়। কিন্তু এমপির মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইন উদ্বোধনের কথা বলে আবারও গ্রাহক প্রতি ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে লাইন উদ্বোধন করা হবে না বলে হুমকীও দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিদ্যুৎ’র সংযোগে এলাকার মানুষ আশার আলো দেখলেও বতর্মানে হতাশায় ভুগছেন গ্রাহকরা।
 
সদর উপজেলার রায়পুর ঝাড়পাড়া এলাকায় শবিন্দ্রনাথ, আশারু বর্মন, নুরুল ই্সলাম, নুরুল আমিন বলেন, ১১ সাল হতে বিদ্যুৎ’র জন্য টাকা দিচ্ছি এখন লাইন নির্মাণ হয়েছে। সুরেন মেম্বারের সাথে আগে ৩ হাজার করে টাকা চুক্তি হয়েছিল। সেই টাকা আমরা সবাই দিয়েছি। যারা টাকা কম দিয়েছে তাদের ওয়ারিং করা হয়নি। আবার এখন প্রতিটি গ্রাহকের কাছে সুরেন মেম্বার ১ হাজার করে টাকা চাইছে এমপির উদ্বোধন খরচের জন্য। টাকা দিলে উদ্বোধন হবে, না দিলে দেরি হবে।

শ্রী মতি রাণী জানান, আর কত টাকা হলে আমরা বিদ্যুৎ পাবো জানি না। উদ্বোধনের জন্য নাকি ১ হাজার টাকা লাগবে। সরকার সকল সুবিধা দিচ্ছে, কিন্তু স্থানীয় মেম্বার কেন টাকার জন্য আমাদের লাইন উদ্বোধন করছে না ?

এ বিষয়ে ঝাড়পাড়া এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য সুরেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৯৪টি মিটারের জন্য লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়ে বিদ্যুৎ লাইন এমপির হাতে উদ্বোধন করবো। টাকা না দিলে কিভাবে উদ্বোধন হবে।

গ্রাহক প্রতি ৩৫ শ’ হতে ৪ হাজার টাকা তুলার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরেন বলেন, চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম পল্লী বিদ্যুৎ‘র ওয়ারিং ম্যান মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে দিছেন। আমি গ্রাহকদের টাকা তুলে মশিউরকে দিছি। এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ‘র এলাকা পরিচালক রেজাউল করিম রাজু চৌধুরীকে কিছু সম্মানি দিতে হয়েছে।

রায়পুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সরকার প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌছে দিচ্ছে। ইউপি সদস্য যদি উদ্বোধনের কথা বলে টাকা চেয়ে থাকে বিয়ষটি অন্যায়। 

ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা-বব্যস্থাপক ইনছের আলী জানান, বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি।

বিডি-প্রতিদিন/২৩ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর