২৮ মার্চ, ২০১৭ ১৬:১৭

উদ্বিগ্ন পাহাড়ের বোরো ধান চাষীরা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

উদ্বিগ্ন পাহাড়ের বোরো ধান চাষীরা

শঙ্কা আর উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় পাহাড়ের বোরো ধান চাষীরা। প্রতিবছর রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ এলাকার যেসব জমিতে বোরো ধান চাষ করা হতো, তার অর্ধেকেও এবার সেটা সম্ভব হয়নি। কারণ একটাই। হ্রদের পানি কমেনি, ভেসে উঠেনি চর। তাই সঠিক সময়ে চাষাবাদও করতে পারেনি কৃষকরা। তবে ইতিমধ্যে যেসব ডুবোচর ভেসে উঠেছে তার মধ্যে কেউ কেউ চাষাবাদ শুরু করেছে। মনে শঙ্কা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ফসল আবাদে ব্যস্ত তারা। 

স্থানীয় কৃষকদের সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে গেলে ভেসে ওঠে বিস্তৃত পলিভরা জমি। আর সে জমিতে বোরো ধান চাষ করেন স্থানীয় চাষীরা। ধান ছাড়াও তরমুজ, শসা, করলা, চিচিংগা, মরিচসহ হরেক রকম সবজি চাষ করা হয় ওই জমিতে। কিন্তু পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির কারণে এবার হ্রদের পানি অনেক দেরিতে কমেছে। তাই কিছুটা বিপাকে পড়ে স্থানীয় চাষীরা। এ বছর কৃষকদের খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল ইমরান জানান, মূলত রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও সদরের কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকায় কৃষকরা জলে ভাসা জমিতে চাষাবাদ করে থাকে। এসব জমিতে রবিশস্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারা আবাদ করে বোরো ধান। ঠিক এসময় হ্রদ জুড়ে দেখা যেত কাঁচা-পাকা ধানের সমারোহ।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছর জলেভাসা জমিতে চার ভাগের দুইভাগও চাষ করা সম্ভব হয়নি । এ নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারাও। 

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা জানান, রাঙামাটি জেলায় কৃষি আবাদী জমির পরিমাণ ১৬ হাজার ৬৮০ হেক্টর। তার মধ্যে সাত হাজার হেক্টর জমি জলেভাসা। আর এসব জমিতে পলি পরিমাণ বেশি থাকার কারণে ধানের উচ্চ ফলন হয়। তাই কৃষকরাও বেশ আগ্রহী জলেভাসা জমিতে চাষাবাদ করতে। কিন্তু সময়মত কাপ্তাই হ্রদের পানি না কমায় এবছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। 


বিডি প্রতিদিন/২৮ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর