বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার আজিমপুর গ্রামে এক নবদম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে স্বামী সৌদি প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন (৩০) ও স্ত্রী তামান্না বেগমের (১৪) লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কাজিরহাট থানার ওসি মো. মাসুদ তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ওই দম্পতির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র এবং নিহত গিয়াস উদ্দিনের বাবা সোনাব আলী হাওলাদার জানান, তার ছেলে গিয়াস উদ্দিন দুই মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে এসে একই গ্রামের রাজ্জাক মীরের মেয়ে তামান্না বেগমকে বিয়ে করে। তামান্না স্থানীয় মাউলতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত বুধবার রাতে বড় ভাই সেলিমের বাসায় দাওয়াত খাওয়ার পর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলাপচারিতা শেষে গিয়াস উদ্দিন ও তামান্না নিজেদের ঘরে ঘুমাতে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে গিয়াস ও তামান্ন ঘুম থেকে উঠতে দেরি করলে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। অনেক ডাকাডাকির পরও ওই দম্পতির কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে কাঠের বেড়া ছুটিয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা গিয়াসের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত এবং তামান্নার মরদেহ বিছানার ওপর পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওসি মো. মাসুদ তালুকদার।ওসি জানান, যে কক্ষে গিয়াস ও তামান্না ঘুমিয়ে ছিল সেখানে একটি হারপিকের বোতল ও তেঁতুল পাওয়া গেছে। তামান্নার মুখ থেকে প্রচুর ফেনা বের হচ্ছিল। ওসি এবং স্বজনদের ধারণা মান-অভিমানের এক পর্যায়ে তামান্না হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্বামী গিয়াস উদ্দিন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে গিয়াস উদ্দিনও ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
জেলা পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। এ কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে, নাকি অন্য কোন ঘটনার শিকার হয়েছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ