লামায় হায়দারনাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালীন সময়ে ক্লাস রুমে ঢুকে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার জের ধরে দুই দফায় মারামারিতে গ্রাম পুলিশসহ আহত হয়েছেন তিনজন। আহতরা হলেন- দক্ষিণ হায়দারনাসী এলাকার গ্রাম পুলিশ সাহাবুদ্দিন (২৬), গিয়াস উদ্দিন (২২) ও মো. সাগর (১৬)। আহতদের লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ে ছাত্রী উত্যক্ত করার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিকাল ৫টা ও রাত ৮টায় দুই দফা হামলা চালায় বখাটে মোবারক ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। বখাটে মোবারক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বাম হাতির ছড়া এলাকার সাবেক মেম্বার আবু তাহেরের ছেলে।
জানা গেছে, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে মোবারক। এসময় মোবারককে আশপাশের লোকজন বাধা দেয়ায় ১০/১৫জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বিকাল ৫টা ও রাত ৮টা দুই দফায় লাঠি, দা, ছুরি ও বন্দুক দিয়ে হামলা চালায়। রাত ৮টায় ইউনিয়নের গুলিস্থান বাজারে প্রকাশ্য হামলায় গ্রাম পুলিশসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহত গ্রাম পুলিশ সাহাবুদ্দিন প্রতিবেদককে জানায়, বাম হাতির ছড়ার বজল আহমদের ছেলে রবিউল আলম (২৫) তাকে বন্দুক নিয়ে ধাওয়া করে।
লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার ২৩ এপ্রিল রবিবার মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে লামা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ