২৩ এপ্রিল, ২০১৭ ১৭:৪৩

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

শেরপুরে কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ, শিলাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার শহর অঞ্চল থেকে পানি সরে গেলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়েছে। এতে কৃষকের পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন ঝিনাইগাতি উপজেলার কৃষকের মধ্যে শুধু হাহাকার। কৃৃষকরা জানিয়েছে, দ্রুত পানি না সরলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। 

গত বৃহস্পতিবার থেকে ৩ দিনে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মহারশি, সোমেশ্বরী, কালঘোষা, মালিঝি নদীর পানি ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী গ্রাম ও তলিয়ে যাওয়া বোরো এলাকাগুলো হচ্ছে কান্দুলী, কোচনীপাড়া, বাগেরভিটা, দাড়িয়ারপাড়, কালিনগর, বালিয়া গাঁও, জরাকুড়া, পাইকুড়া, সুরিহাড়া, মাটিয়াপাড়া, পাগলারমুখ, বনগাঁও চতল প্রভৃতি গ্রাম। 

উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেছেন গত দুদিনের চেয়ে পানি আরও বেড়ে কমপক্ষে ৬ হাজার হেক্টর ধানি জমি ও ৩শ হেক্টর সবজি ক্ষেত এখন পানির নীচে। উপজেলা কৃষি সম্প্রষারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কোরবান আলী বলেছেন, আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি নিম্নাঞ্চলে আরও অবনতি হয়েছে। চূড়ান্ত ক্ষতি কত হয়েছে তা পরে বোঝা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত উপজেলার সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর ধানী জমি পানির নীচে আছে।গত ২ দিনে নালিতাবাড়ি ও নকলা উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের পানি কিছুটা কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছেন সবচেয়েবেশী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা হল ঝিনাইগাতি উপজেলা। আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই পাহাড়ি ঢল সরে যাবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, পানি সর গেলে কৃষকের তাড়াতাড়ি ধান কেটে ফেলাই উচিৎ হবে।

  
বিডি-প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর