২৩ এপ্রিল, ২০১৭ ১৮:৫৫

পিসিপি নেতার মৃত্যু: রাঙামাটিতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ পালিত

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

পিসিপি নেতার মৃত্যু: রাঙামাটিতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ পালিত

চাঁদা না পেয়ে পণ্যসহ দুইটি ট্রাক পুড়ানোর অভিযুক্ত আসামী ও ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)র নানিয়ারচর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির ডাকে রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথে অবরোধ পালিত হয়েছে।

রবিবার সকালে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে কয়েকটি যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। যদিও অবরোধের কারণে সড়ক ও নৌ-পথে দুরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলাচল করেনি। তবে রাঙামাটি শহরের যানচলাচল ছিল স্বাভাবিক। অবরোধ চলাকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে পিসিপি নেতা রমেল চাকমার মৃত্যু বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। দেখা দিয়েছে জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।
এঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দফতর সম্পাদক রোনাল চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে রমেল চাকমার  মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করে বিভিন্ন কর্মসূচীও ঘোষণা করেন।

তবে প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারের পর ৬ এপ্রিল রমেল চাকমা শারীরিক অসুস্থতার কথা জানালে পুলিশ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৯ এপ্রিল সে মারা যায়। 

ময়না তদন্ত শেষে রমেল চাকমার মরদেহ তার পরিবারের সদস্যদের নিকট হন্তান্তর করা হয়। পরদিন রমেলের গ্রামের বাড়ি পূর্বহাতিমারায় নিয়ে গিয়ে দুপুরে তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতে ধর্মীয় রীতি-নীতি ও নিয়ম অনুযায়ী দাহ সম্পন্ন করে। এসময় নানিয়ারচর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আজগর আলী, নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে রমেল চাকমার লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হন্তান্তর করা হয়। 

অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত আসামী ও পিসিপি নেতা রমেল চাকমার মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পার্বত্যাঞ্চলে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে একটি মহল।

এব্যাপারে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, অভিযুক্ত আসামী রমেল চাকমা একজন সশস্ত্র সংগঠনের নেতা। তাছাড়া সে একজন চাঁদাবাজ। সাম্প্রতিককালে নানিয়াচরে চাঁদা না পেয়ে ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা তারই প্রমাণ।  একজন অসুস্থ ব্যক্তির যে কোন জায়গায় মৃত্যু হতে পারে। তার মৃত্যুকে ইস্যু করে একটি স্বার্থনাষী মহল পার্বত্যাঞ্চলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, ২৩ জানুয়ারি রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় চাঁদার দাবিতে মালভর্তি ট্রাকে আগুন দেবার  ঘটনার সাথে জড়িত এবং মূল মদদদাতা ইউপিডিএফ’র সশস্ত্র কর্মী রমেল চাকমাকে ৫এপ্রিল নানিয়ারচর টিএন্ডটি বাজার এলাকা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আটক  করে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রমেল চাকমা ট্রাকে অগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

বিডি প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর