২৪ এপ্রিল, ২০১৭ ১৫:০৬

উদ্বোধনের অপেক্ষায় স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়ক

উখিয়া প্রতিনিধি

উদ্বোধনের অপেক্ষায় স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়ক

উদ্বোধনের অপেক্ষার প্রহর গুনছে স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়ক। পর্যটন শিল্পের নতুন দুয়ার খুলতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৬ই মে কক্সবাজার যাচ্ছেন।

এ মেরিন ড্রাইভ সড়ক উন্মুক্ত হলে সীমান্তবর্তী টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়ন ১৬ ইসিবি।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সরকারের সময় ৪৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কটি নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গৃহীত হয়। প্রকল্পের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয় ২০৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। এ সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ কক্সবাজার কলাতলী পয়েন্ট থেকে সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে। সওজ বিভাগের ঠিকাদার কর্তৃক নির্মিত কলাতলী মোড় থেকে পাইওনিয়ার হ্যাচারী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক সাগরের প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে না পেরে সাগরে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। 

পরবর্তীতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়নকে। বর্তমানে সড়কটি ৪৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য থেকে বেড়ে ৮০ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে নব উদ্যোমে কাজ শুরু করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কাজের গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের সদস্যরা মূল সড়ককে তিন ধাপে ভাগ করে প্রথম ধাপে কলাতলী থেকে ইনানী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার, দ্বিতীয় ধাপে ইনানী থেকে শিলখালী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার ও তৃতীয় ধাপে শীলখালী থেকে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

সওজ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৪৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দে নির্মাণাধীন মেরিন ড্রাইভ সড়কের দুই পাশে থাকবে ওয়াক ওয়ে, পর্যটকদের সুবিধার্থে থাকবে সড়কজুড়ে ফ্রেক্সিবল পেভম্যান, শেড, গাড়ি পার্কিং ও মহিলা পর্যটকদের চেঞ্জিং রুম। ৮০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে তিনটি বড় আরসিসি সেতু, ৪২টি কালভার্ট, তিন হাজার মিটার সসার ড্রেন ও ৫০ হাজার মিটার সিসি ব্লক ও জিও ট্যাক্সটাইল থাকবে। 

কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, মূল প্রকল্পের কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। সড়কটি প্রথমে জেলা শহর থেকে উখিয়া উপজেলার ইনানী পর্যন্ত নির্মাণ করার পরিকল্পনা ছিল। পরে এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখন সড়কটি শুধু কক্সবাজার বা গোটা দেশের নয় বরং বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় ও নান্দনিক একটি সড়কে পরিণত হতে চলেছে। 

 

বিডি প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর