টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দ্বন্ধের কারণে ফের বন্ধ হয়ে গেছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম। বাছাই কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এমপিসহ অধিকাংশ সদস্য যাচাই বাছাই বোর্ডে অনুপস্থিত থাকার কারণে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাই বলে জানা গেছে। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত তারিখেও একইভাবে যাচাই বাছাই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় সোমবার যাচাই বাছাইয়ের দিন ধার্য্য করে নোটিশ ও চিঠি দেয়া হলেও আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই হয়নি। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার আবেদনকারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আজ উপজেলা মিলনায়তনে ছিল উপজেলার মহেড়া, জামুর্কী, ফতেপুর, তরফপুর, বাঁশতৈল ও আজগানা ইউনিয়নের আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের তারিখ। সকাল সাড়ে দশটায় সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্য সচিব ইসরাত সাদমীন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুমানা ইয়াসমিন মিলনায়তনে বসে রয়েছেন। তার পাশেই বসে অপেক্ষা করছেন বেশ কয়েকজন আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা। এসময় কমিটির সদস্য সচিব ইসরাত সাদমীনের কাছে যাচাই বাছাই শুরু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমি কমিটির সদস্য সচিব। আমি যথা সময়ে উপস্থিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু কমিটির অন্য সদস্যরা কেউ উপস্থিত হননি। এজন্য যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
কমিটির অন্য সদস্যরা যাচাই বাছাইয়ের তারিখ জানেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কমিটির সভাপতি মাননীয় এমপি মো. একাব্বর হোসেনের সম্মতি ক্রমেই যাচাই বাছাইয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া কমিটির সকল সদস্যকেই জানানো হয়েছে।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে অংশ নিতে প্রায় ছয়’শ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা গেজেট হওয়ার জন্য আবেদন করেন। বাছাই কমিটির সদস্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস বলেন, সদস্য সচিবের প্রতি আমাদের আস্থা না থাকায় আমরা বাছাই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করিনি।
এ বিষয়ে যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এমপির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার