২৫ এপ্রিল, ২০১৭ ১০:১০

বিয়ানীবাজার পৌরসভার ভোটযুদ্ধ শুরু

অনলাইন ডেস্ক

বিয়ানীবাজার পৌরসভার ভোটযুদ্ধ শুরু

সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রথম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে এই ভোটযুদ্ধ শুরু হয়। কড়া নিরাপত্তায় দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনে দুই প্রধান দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রতীক থাকায় ভোটারদের আগ্রহ, উচ্ছ্বাসও খানিকটা যেন বেশি।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ কার্যক্রম চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বিয়ানীবাজার পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১০টি। মোট ভোটার ২৫ হাজার ২৪ জন।

প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা সিলেটের বিয়ানীবাজার। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সংখ্যাই বেশি। বিয়ানীবাজার প্রায় ১৬ বছর আগে মর্যাদা পায় পৌরসভার। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি পাওয়ার সৌভাগ্য আর হয়নি পৌরবাসীর। অনির্বাচিত প্রশাসকই এ পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেছিলন এতদিন। তবে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর অবসান ঘটছে সকল প্রতীক্ষার। প্রশাসক যুগের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির যুগে প্রবেশ করছে সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত এ পৌরসভাটি।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, ১৮.১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বিয়ানীবাজার পৌরসভার মোট ভোটার ২৫ হাজার ২৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৪০৩ জন এবং নারী ভোটার ১২ হাজার ৫৯৪ জন। নারী ভোটারের সংখ্যা পুরুষদের চেয়ে ১৯১ জন বেশি। ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট ৬ নং ওয়ার্ডে।এই ওয়ার্ডে ভোট সংখ্যা ৩ হাজার ৭শ’ ৭১ ভোট। নির্বাচনে লড়ছেন ৮ জন মেয়র প্রার্থী, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৬৫ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডে ৭ জন নারী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। জেলা রিটার্নিং অফিসার মনির হোসেন জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে সকল কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

নির্বাচনে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা। 

প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস শুকুর (নৌকা প্রতীক), বিএনপি মনোনীত আবু নাসের পিন্টু (ধানের শীষ), পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তফজ্জুল হোসেন (জগ), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী আবুল কাশেম পল্লব (মোবাইল ফোন), জামায়াত সমর্থিত মাওলানা জমির হোসেন (রেল ইঞ্জিন), জাসদ সমর্থিত শমসের আলম (মশাল), স্বতন্ত্র প্রার্থী বদরুল হক (নারিকেল গাছ) এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমান উদ্দিন (কম্পিউটার)। তবে কয়েকদিন আগে আমান উদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন সাত প্রার্থী।

এদের মধ্যে মূলত আব্দুস শুকুর, আবু নাসের পিন্টু ও তফজ্জুল হোসেনই আছেন আলোচনার কেন্দ্রে। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এ তিন প্রার্থীর যে কেউই নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকিদের মধ্যে আবুল কাশেম পল্লব ও জমির হোসেনকেও নিয়ে ক্ষীণ আলোচনা রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/২৫ এপ্রিল ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর