বরিশালের গৌরনদীতে প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, মানববন্ধন, শহীদদের প্রতি পুস্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা এবং শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সরকারি গৌরনদী কলেজ চত্তর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে হয়ে সাউদের খালপাড় বটগাছের নিচে গিয়ে শেষ হয়। পরে ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক সেনাদের সাথে বরিশাল সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সড়কপথে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধে ৪ শহীদের স্মরণে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।
এরপর ওই স্থানে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন এবং শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন।
দুপুরে সরকারি গৌরনদী কলেজের হলরুমে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে শহীদদের স্মরণে আলোচানা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮ নম্বর সেক্টরের সেকেন্ড ইন কমান্ড আব্দুল হক বীর বিক্রম।উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ২৫ এপ্রিল পাক সেনাদের সাথে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক পথে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ হয় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর সাউদের খালপাড় (কটকস্থল) এলাকায়। ওই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সাতজন পাক সেনা নিহত এবং হানাদারদের বুলেটে চাঁদশী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল মন্ডল, নাঠৈ গ্রামের সেনা সার্জেন্ট সৈয়দ আবুল হাসেম, বাটাজোরের মোক্তার হোসেন, গৈলার আলাউদ্দিন সরদার ওরফে আলা বক্স শহীদ হন। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৬ বছর পরও প্রথম সন্মুখ যুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতিস্তম্ভ।
বিডি প্রতিদিন/২৫ এপ্রিল ২০ ১৭/হিমেল