২৫ এপ্রিল, ২০১৭ ২০:২৩

বগুড়ার আকাশে উড়লো ড্রোন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:

বগুড়ার আকাশে উড়লো ড্রোন

বগুড়ার আকাশে উড়লো ড্রোন। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোন ছাড়াও আরো অনেক কিছু উদ্ভাবন করেছে। মঙ্গলবার বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩৮ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে।এই মেলা উপলক্ষেই শিক্ষার্থীরা তাদের বানানো বিভিন্ন উপকরণ উপস্থাপন করছে। জিলা স্কুল মাঠে এ মেলা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ উদ্ভাবন করেছে রোড এক্সিডেন্ট সেভার, ব্যবহৃত বিদ্যুৎ থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ রিজার্ভ করা, আধুনিক সোলার সিস্টেম সেচ পাম্প, ডিজিটাল স্কুল, ডিজিটাল ভিলেজ, ফসলের ও পরিবেশের ক্ষতিকর পোকা দমন যন্ত্র, বিদ্যুৎ অপচয় রোধে বিভিন্ন উদ্ভাবন। এসব উদ্ভাবন দেখতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ভিড় করছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার, বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি এনামুল হক দুলালসহ জিলা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র শাদাব মোস্তফা নিজে ড্রোন উদ্ভাবন করেছেন বলে দাবি করে ড্রোনটি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এ মেলায় উড়িয়ে সবাইকে দেখান। 

ড্রোন’র উদ্ভাবক শাদাব মোস্তফা জানান, ২ কেজি ভার বহন করা ড্রোনটি তৈরী করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ড্রোনটি ২ কিমি পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। বগুড়া শহরের রহমান নগরে বসবাসকারী শাদাব মোস্তফা আরও জানান, ছেলে বেলা থেকেই তার আবিষ্কারের দিকে ঝোঁক ছিল। বাজার থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে ড্রোনটি তৈরী করতে তার ২ সপ্তাহ সময় লেগেছে।

বগুড়া মিলিনিয়াম স্কলাস্টিকা স্কুল এন্ড কলেজ এর ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরনিকাহ্ নওয়ার কয়েকজনের সযোগিতায় একটি রোড এক্সিডেন্ট সেভার তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে মহাসড়কে চলাচল করা গাড়ীর গতি নিয়ন্ত্রণ করে দুর্ঘটনার আশংকা কমিয়ে দেবে। বিশেষ একটি সেন্সর প্রতিটি গাড়ীতে থাকতে হবে। এই সেন্সরে গাড়ীর সামনে ও পিছনে নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। তারপর গাড়ী চলাচলের সময় নির্ধারিত ওই সীমার মধ্যে অপর একটি গাড়ী চলে এলে বা ওভার টেকিং করার সময় বিপরীত মুখির কোন গাড়ী হঠাৎ করে নির্ধারিত সীমার মধ্যে চলে এলে সেন্সরটি চালককে মনিটরের মাধ্যমে সংকেত দেবে। চালক সংকেত পেয়ে সতর্ক হয়ে যাবে। আর সংকেত পাওয়ার পরেও চালক গুরত্ব না দিলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ীটি নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে গাড়ীটি দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাবে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ খরচ কম হওয়ার বিভিন্ন প্রজেক্ট উদ্ভাবন করেছে। 


বিডি প্রতিদিন/২৫ এপ্রিল ২০ ১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর