২৭ এপ্রিল, ২০১৭ ০৯:৩৩

বাল্যবিয়ের পাত্র পুলিশ কর্মকর্তা!

অনলাইন ডেস্ক

বাল্যবিয়ের পাত্র পুলিশ কর্মকর্তা!

বাল্যবিয়ে বন্ধে দুই বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে সম্প্রতি বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৪'র খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এছাড়া বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। অথচ এবার রক্ষকই হতে যাচ্ছিলেন ভক্ষক। স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

আর পুলিশ পাত্র পেয়ে হাতছাড়া করতে চাচ্ছিল না ওই স্কুলছাত্রী পাত্রীর পরিবার। বিয়ের দিনক্ষণও ঠিক করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছিল। তবে বিষয়টি টের পেয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ও প্রশাসন।

ওই বাল্যবিয়ে করতে যাওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, ওই পুলিশ কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলার কোনো থাকার উপপরিদর্শক (এসআই)। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরে ওই এসআইও কেটে পড়েন।

বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া ওই স্কুলছাত্রী চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ুয়াপাড়ার বাসিন্দা। 

এই বাল্যবিয়ে বন্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সুকর্ণার বিয়ে ঠিক হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে তা ঠেকাতে প্রথমে মাঠে নামেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বাধীন মঞ্চের সদস্যরা। তারা একযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। এরপর তাদের সঙ্গে যুক্ত হন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সদস্যরা। 

পড়ালেখা করার ইচ্ছা পোষণ করে এই বিয়েতে মত না থাকার কথা জানায় ওই স্কুলছাত্রীও। বিষয়টি জেনে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এগিয়ে আসেন এই বাল্যবিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করতে। বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে ওই স্কুলছাত্রীর মা-বাবাকে বোঝাতে সক্ষম হন তারা। এরপর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন মা-বাবা। এতে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় ওই স্কুলছাত্রী। ফলে বুধবার থেকে যথারীতি বিদ্যালয়ে যেতে শুরু করে সে।

বিডি প্রতিদিন/২৭ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর