২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ১০:৫৬

বিনা পুঁজির সবজি চাষে বাড়তি আয়

সাইফুল ইসলাম বেগ, হবিগঞ্জ থেকে ফিরে

বিনা পুঁজির সবজি চাষে বাড়তি আয়

সবজিটির স্থানীয় নাম চুখরাঞ্জি। দেখতে অনেকটা ডাঁটা শাকের মতো। একবার রোপণ করলে দীর্ঘমেয়াদী ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া গাছের পাতা মাটিতে পুঁতে রাখলে একসঙ্গে অনকেগুলি গাছ জন্মে। পরিপূর্ণ একটা গাছ থেকে বেশ কয়েকবার সবজি তোলা হয়। স্থানীয় বাজারে এর ভালো কদর রয়েছে। টক এ সবজি মাছের সঙ্গে রান্না করে খেতে হয়। 

চাষীদের দাবি, ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ এ সবজি শুধুমাত্র তাদের এলাকাই চাষ হয়। কোন পুঁজি ছাড়াই অল্প পরিশ্রমে চুখরাঞ্জি চাষ করে বছরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার লামাতাশি ইউনিয়নের চাষীরা। 

ইউনিয়নের পিক্রম, রামপুর, যাদবপুর, করের গ্রাম, বরইকান্দি, চখিগ্রাম, বারিগ্রাম ও মুদারবাজ গ্রামের চাষীরা ধান ও পান এর সঙ্গে বহু বছর ধরে চুখরাঞ্জি চাষ করছেন।   

চুখরাঞ্জি চাষী পিক্রম গ্রামের নেপাল দেবের ছেলে আসিম দেব (২৬) জানান, সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ শুরু করি। আমাদের পূর্ব পুরুষদের মতো ধান ও পান চাষ করতাম আমরা। পানের সঙ্গে অল্প কিছু চুখরাঞ্জিও চাষ হতো। ধান ও পান চাষে খরচ বেড়েছে। সেই অনুপাতে ভালো ফসল পাওয়া যায় না। 

চুখরাঞ্জি চাষে বাড়তি খরচ নেই। তাই ১৫ বছর ধরে ধান ও পান চাষের পাশাপাশি আমরা চুখরাঞ্জি চাষ করে আসছি। প্রতি বছরের বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস এ সবজির ভালো বিক্রি হয়। এসময় আমরা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করি।   
    
এ বিষয়ে কথা হলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যান ও তত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু সবজিটি শুধুমাত্র এক অঞ্চলে চাষ হয়, সেহেতু আমাদের উচিত লাভজনক এ সবজি সংগ্রহ করে সব অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া। এতে অন্যান্য এলাকার কৃষকরাও উপকৃত হবে।   

বিডি প্রতিদিন/২৮ এপ্রিল ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর