২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ২০:২৩

কৌশলে অপহরণের কবল থেকে বাঁচলো স্কুলছাত্র, আটক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:

কৌশলে অপহরণের কবল থেকে বাঁচলো স্কুলছাত্র, আটক ১

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত মহাস্থান জাদুঘরের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় কৌশলে অপহরণকারীদের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করলো এক স্কুলছাত্র। এমনকি তার বুদ্ধিমত্বায় ধরা পড়েছে অপহরণকারী দলের এক সদস্যও। 

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পৌরপাড়া এলাকার অব. সার্জেন্ট মোবারক আলীর ছেলে ও কালাই ময়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র শাহরুদ-ই-তানজিদ তুরাগ (১৬) মহাস্থান জাদুঘর দেখতে আসে। জাদুঘর পরিদর্শন শেষে দুপুর ১টার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা করলে মূল ফটকে অপরিচিত ৮/৯ জনের একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্রের মুখে তাকে জোর করে একটি মোটরসাইকেলে তুলে পালিয়ে যায়। এরপর তারা তিনটি মোটরসাইকেলযোগে সোনাতলা উপজেলার দিকে রওনা দেয়। পথের মধ্যে তারা তুরাগের মোবাইল ফোন দিয়ে তার বাবার সঙ্গে কথা বলে একলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীরা বেলা আড়াইটা-তিনটার দিকে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট এলাকার একটি বিকাশের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলে। মুহূর্তেই অপহৃত তুরাগ কৌশলে বিকাশ দোকান মালিককে অপহরণের বিষয়টি ইশারায় বুঝায়। এ সময় তুরাগের ইশারা অপহরণকারি দলের সদস্যরা বুঝতে পেরে দ্রুত তুরাগকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখনই আশেপাশের ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে অপহরণকারীদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে মহিষাবাড়ি এলাকায় গিয়ে অপহৃত ওই স্কুলছাত্রকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি ব্যারিকেট দিয়ে আটক করে।

এ সময় অপহরণকারীদের সাথে দোকানিদের হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এই সুযোগে স্কুলছাত্র দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে লোকালয়ে গিয়ে চিৎকার দেয়। গ্রামবাসী এসে অপহরণকারি দলের সদস্য গাবতলী উপজেলার সাবেকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে সৌরভকে (২৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অন্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। সেখানে আরও সাতজন ছিল বলে জানায় তুরাগ।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোনাতলা থানায় তুরাগের বাবা অব. সার্জেন্ট মোবারক আলী বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে সোনাতলা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। 
বগুড়ার সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, থানায় মামলা হয়েছে। এক অপহরনকারীকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর