২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ২২:২১
বললেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

'হাওরে ধান পঁচায় মাছের খাবার বেড়েছে'

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

'হাওরে ধান পঁচায় মাছের খাবার বেড়েছে'

ফাইল ছবি

অতি বৃষ্টি এবং উজানের ঢলের পানিতে হাওরের কাঁচা ধান পঁচে যাওয়ায় এমোনিয়ার মাত্রা বেড়ে গিয়ে অক্সিজেন কমে মাছ মারা গেছে বলে মনে করছেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ। শুক্রবার নেত্রকোনা সফরে এসে তিনি আরও বলেন, তবে ধানের পচন ক্রিয়ার কারণে মাছের খাবার বেড়েছে। সেই সাথে পানি দীর্ঘদিন থাকার ফলে মাছেরও প্রজনন বাড়বে। কাজেই আগামীতে শুধু ক্ষতি পোষাবে না, অধিক অবদান আমরা পাবো।

আরিফ আজাদ বলেন, হাওর বেসিনে এক লাখ টনের বেশি মাছ হয়। হিসেব অনুযায়ী সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে ২০৩ টন মাছ মারা গেছে। এটা খুব সিগনিফিকেন্ট পরিমাণ বলা যায় না। অত্যন্ত সফলভাবে মাছের মরা রোধ করা হয়েছে। 

ইতিমধ্যে বিল নার্সারী এবং পোনা অবমুক্ত করার জন্য প্রায় ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পোনা ছাড়ার পর আইন রক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। যাতে জেলেরা চলতে পারে সে কারণে কার্ডধারী জেলেদের জন্য ১৫ হাজার মেট্রিকটন খাদ্য সহায়তার আহ্বান করেছি আমরা। 

হাওরে যেহেতু হাইব্রিড ধান চাষ হয়েছে, সেখানে সারের প্রভাবে কোন বিষক্রিয়া হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই পরীক্ষায় ৭ দিন সময় লাগে। পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। 
উল্লেখ্য, গত পহেলা এপ্রিল পাহাড়ি ঢলে মোহনগঞ্জ উপজেলার চরহাইজদা বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন বাঁধ ভেঙে হাওরাঞ্চল তলিয়ে যায়। এতে জেলার ১ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর ধানের মধ্যে ৭০ হাজার হেক্টর তলিয়ে গেছে। সরকারি হিসেবে ডিঙ্গাপোতা হাওরসহ ছোট বড় ৪২ টি হাওরের মাছ মরে প্রায় ২৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর