২৯ এপ্রিল, ২০১৭ ১৪:৫৮

৩১ অস্ত্রসহ বনদস্যু আলিফ ও কবিরাজ বাহিনীর আত্মসমর্পন

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

৩১ অস্ত্রসহ বনদস্যু আলিফ ও কবিরাজ বাহিনীর আত্মসমর্পন

সংগৃহীত ছবি

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বর্তমান সময়ের দুর্ধর্ষ আলিফ ও কবিরাজ নামের দুই বনদস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ২৫ সদস্য র‌্যাব-৮ এর কাছে আত্মসমর্পন করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য অঞ্চলের বড় সুমড়া ও ছোট সুমড়া এলাকায় ওই দুই দস্যু বাহিনী র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পন করে। 

পরে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও র‌্যাবের ডিজি বেনজিবার আহমেদের উপস্থিতিতে ওই ২৫ বনদস্যু আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এসময় দস্যুরা বিপুল পরিমান দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করে।

বরিশাল র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, সুন্দরবনের দস্যু দমনে বিশেষ অভিযান চলাকালে বনদস্যু আলিফ ও কবিরাজ বাহিনীর দুই প্রধান দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য র‌্যাবের সম্মতি প্রকাশ করে। তাদের সম্মতি গ্রহণ করে র‌্যাব দুই বাহিনীর সকল সদস্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তাব দেয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যায় সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য অঞ্চলের বড় সুমড়া এলাকায় বনদস্যু আলিফ বাহিনীর ১৯ সদস্য, ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৮৩২ রাউন্ড গুলি এবং ছোট সুমড়া এলাকায় কবিরাজ বাহিনীর ৬ সদস্য, ৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭৮টি রাউন্ড গুলিসহ র‌্যাবের কাছে প্রাথমিকভাবে আত্মসমর্পন করে। 

এরা হলো “আলিফ বাহিনীর” প্রধান আলিফ মোল্লা ওরফে দয়াল (৪২), রেজাউল ইসলাম শেখ ওরফে ছোট (২৮), সফিনুর রহমান সফি(২০), আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ (৪০), হযরত আলী বরকন্দাজ ওরফে জামাই গুটি (৩৮), শাহীনুর আলম ওরফে শাহীন(২৯), জামির আলী জামু (৪৬), আলামিন মোল্লা (৩৫), তাইজেল ওরফে বড় ভাই (২৭), সিরাজুল ইসলাম ওরফে সুমন (৪১), আলমগীর গাজী(২৬), কামাল শেখ(৩৮), হোসেন আলী শেখ ওরফে ভাগ্নে (২৮), সেলিম মোড়ল (৩৯), হযরত আলী গাইন ওরফে আঙ্গুল কাটা হযরত (৩৯), পিয়ার আলী (৩৭), লিটন বিশ্বাস ওরফে দেওয়ান (৩২), হাবিবুর রহমান ওরফে বাছা (২৭), এনামুল গাজী ওরফে এনা (৩৫) এবং “কবিরাজ বাহিনীর’’ প্রধান ইউনুস আলী শেখ ওরফে কবিরাজ ওরফে লাদেন (৩০), নাজিম শেখ(৩৮), আফতাব উদ্দিন ফকির ওরফে বেয়াই (৩৩), আবু শেখ (৪৬), সেলিম হাওলাদার (৩০), আশরাফ হোসেন ওরফে রাজু (৩৭)। দস্যুদের বাড়ি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, আত্মসমর্পন করা দস্যু ও অস্ত্রশস্ত্র বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হবে। র‌্যাবের ডিএডি আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করবেন।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল জানান, বনদস্যুদের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 


বিডি প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর