বগুড়ার ধুনট উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের ৩৯০ কেজি চাল কালোবাজারে বিক্রি চেষ্টার অভিযোগে তাসলিমা খাতুন নামের এক নারী ব্যবসায়ির ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরী সভায় ডিলারশীপ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুস আলী মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরের চালের জন্য এক হাজার ৪৬৫ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করেন চেয়ারম্যান-মেম্বররা। ওই ইউনিয়নে চাল বিক্রির জন্য ২ জন ডিলার নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে খাটিয়ামারী বাজার থেকে চাল বিক্রির জন্য বলারবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা খাতুনকে ডিলার নিয়োগ করে খাদ্য বিভাগ।খাটিয়ামারী বাজার পয়েন্টে এপ্রিল মাসের জন্য ৬৯৮টি কার্ড বরাদ্দ রয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল সুবিধাভোগী কার্ডধারীদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি ভুয়া কার্ডের অনুকূলে ৩৯০ কেজি চাল তাসলিমা খাতুন নিজের গুদামে মজুদ রাখেন।
শনিবার বিকালে ৩৯০ কেজি চাল গুদাম থেকে বের করে পাচারের উদ্দেশে অটোভ্যান যোগে মথুরাপুর বাজারের নিয়ে যাবার সময় ডিলার তাসলিমা খাতুনকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, চালগুলো জব্দ করেন। একই সাথে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিলারের গুদাম সিলগালা করা হয়।
ডিলার তাসলিমা খাতুন বলেন, শুনেছি আমার ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে। তবে, এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আমাকে দেওয়া হয়নি।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, তাসলিমা খাতুনের ডিলারশীপ বাতিলসহ ৩৯০ কেজি চালের দ্বিগুণ মূল্য সরকারি কোষাগারে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডিলারের কাছ থেকে জব্দকৃত ৩৯০ কেজি চাল খোলা বাজারে নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব