উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংক-লরি, কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ৭ দফা দাবিতে ডাকা কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনেও স্থবির হয়ে পড়েছে হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকের কর্মবিরতির কারণে গতকাল রবিবার সকাল থেকেই হিলি সহ দিনাজপুর থেকে সব রুটে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে হিলি বন্দরের অভ্যন্তরে পেঁয়াজ, চালসহ শতশত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। তবে স্থলবন্দর দিয়ে দু'দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু রয়েছে। এর ফলে বন্দরে পণ্য জটের আশঙ্কা রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের। আর ট্রাক চালাতে না পারায় অনেক পণ্যবাহী ট্রাককে দিনাজপুরের হাউজিং মোড়, হিলিসহ বিভিন্ন প্রধান সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, ‘পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি চলার কারণে পণ্য পরিবহনে কোনও ট্রাক পাচ্ছি না। ট্রাক না পাওয়ায় আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছি। দেশের কোথাও এসব পণ্য সরবরাহ করতে পারছি না। এতে করে বন্দরের ভেতরে বেশ পরিমাণ পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে আটকে পড়া এসব পেঁয়াজে পচন ধরতে পারে। এতে করে এসব পণ্য নষ্ট হলে আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা হোক।’
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক অসিত কুমার স্যান্নাল বলেন, বন্দর দিয়ে দু'দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পরিবহন কর্মবিরতির কারণে বাংলা ট্রাক না পাওয়ায় রবিবার থেকে বন্দরের ভেতরে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এর ফলে বন্দরের ভেতরে ৫০ ট্রাক পেঁয়াজ, ১৫০ ট্রাক চালসহ অন্যান্য পণ্য মিলিয়ে ৩১১টি পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার