২৩ মে, ২০১৭ ১৮:৪৭

ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় নির্যাতিতার পরিবার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে যখন চারদিকে আলোচনা-সমালোচনা চলছে তখন ময়মনসিংহের ভালুকার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। গত জানুয়ারি মাসের ঘটনা হলেও মঙ্গলবার ঘটনাটি প্রকাশে আসে। 

এর আগে,  গত ১৫ মে ভুক্তভোগীর পিতা বাদি হয়ে ঘটনার পাঁচ মাস পর কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। তবে মামলার ৮ দিন পার হলেও এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, গত  ১১ জানুয়ারি নগরীর মুসলিম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দক্ষিণ পাশে একটি মাইক্রোবাসে ধর্ষণ করে আলমগীর ও তার সহযোগীরা। মামলার অন্যান্য আসামিরা হচ্ছে আলমগীরের বন্ধু তুষার (২৬) ও চালক মোখলেছ (২৫)। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত আলমগীরসহ তিনজনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেছে।

মামালা সূত্রে জানা যায়, ভালুকার কাচিনা গ্রামের ওই মেয়ে ময়মনসিংহ নগরীর একটি কলেজে পড়াশুনা করত। কলেজে যাওয়া আসার পথে আলমগীর প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে আলমগীর তার বন্ধু তুষার এবং মাইক্রোবাস চালক ওই ছাত্রীকে জোড় পূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে মাইক্রোবাসেই ধর্ষণ করে তাকে। ধর্ষণ শেষে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায় মাইক্রোবাস নিয়ে সটকে পড়ে অভিযুক্তরা। জ্ঞান ফিরলে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বান্ধবীকে ফোন করলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে ও মামলা প্রত্যারের জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ওই পরিবারটি। 

ভুক্তভোগীর পিতা জানান, ‘এতদিন আমি মান-সম্মানে ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যনসহ বিভিন্ন লোকজন আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকদেরকে হুমকি অব্যাহত রাখায় আমি মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবিরের মুঠোফোনে মঙ্গলবার দুপুরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টার করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।  

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ইতোমধ্যে মেডিকেল করানো হয়েছে। ধর্ষর্ণের আলামত পাওয়া গেছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, অতীতেও তার কর্মকাণ্ড সন্তোষজনক ছিল না। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দল থেকে কয়েকবার তাকে সাবধান করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিডি-প্রতিদিন/২৩ মে, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর