২৬ মে, ২০১৭ ১৯:১৭
কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ

বহিস্কৃত সেই ছাত্রলীগ নেতা এবার অন্তরঙ্গ ছবি ছাড়লেন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

বহিস্কৃত সেই ছাত্রলীগ নেতা এবার অন্তরঙ্গ ছবি ছাড়লেন

বহিস্কৃত হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবির

ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিস্কৃত আলমগীর কবির এবার নির্যাতিত সেই কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ওই মেয়ের সাথে ৯টি ছবি প্রকাশ করে। পরে মূহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে এক ওয়াল থেকে অন্যের ওয়ালে। 

এসব আপত্তিকর ছবি দিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে আলমগীর লিখেন, ‘ভালবাসার মান রাখতে যেদিন আমার সাথে পালানোর জন্য চলে আসছিল, তার বোনের কান্না ভোলানো কথায় নিজে গিয়ে তাকে বাসায় দিয়ে আসছিলাম। যাই হোক আমি জানি কিছু বিএনপিপন্থী ষড়যন্ত্রকারী এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আর আমি এটা বিশ্বাস করি যে সত্যের জয় হবে নিশ্চিত। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হোক ছাত্রলীগের।’

ধর্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত নির্যাতিতার পরিবার। তাদের অভিযোগ, মামলা হলেও পুলিশ এখনো ধর্ষক আলমগীরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিব্রতকর ছবি দিয়ে আমাদের মানসম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সে। আর এসবের পেছনে কলকাঠি নারছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রভাবশালী মহল।

নির্যাতিতার বাবা বলেন, এতকিছুর পরও আলমগীরকে গ্রেফতার করতে পারছেনা পুলিশ। এখন আসামি পক্ষ থেকে ৬ কোটি টাকা কাবিনে বিয়ে করানোর জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। নইলে আমাকে এবং আমার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তারা। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, এখনো আমরা ফেসবুকে দেয়া ছবিগুলো দেখিনি। দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর আসামি ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

গত  ১১ জানুয়ারি ময়মনসিংহের মুসলিম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দক্ষিণ পাশে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে গিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভালুকার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি আলমগীর কবির ও তার সহযোগীরা। ভুক্তভোগীর বাবা ঘটনার পাঁচ মাস পর ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ মে মামলাটি দায়ের করা হলেও গত মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলার অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে- চালক মোখলেছ (২৫) ও বন্ধু তুষার (২৬)। 

জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে আলমগীর তার বন্ধু তুষার এবং মাইক্রোবাস চালক ওই ছাত্রীকে জোড় পূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে মাইক্রোবাসেই ধর্ষণ করে তাকে। ধর্ষণ শেষে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে মাইক্রোবাস নিয়ে সটকে পড়ে অভিযুক্তরা। জ্ঞান ফিরলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী তার বান্ধবীকে ফোন করলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

 

বিডি প্রতিদিন/২৬ মে ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর