নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মজিদের ইমাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। আজ উপজেলার কাঞ্চন সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নেশার প্রতিবাদ ও মেন্টেল বলার ক্ষোভেই মসজিদের ইমাম আব্দুল মজিদ মুন্সীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন জহিরুল ইসলাম।
রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশ) সাজ্জাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে কাঞ্চন সেতু এলাকা থেকে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মাঝিপাড়া এলাকার মৃত সাফর উদ্দিনের ছেলে।
ওই ইন্সপেক্টর (অপারেশন) সাজ্জাদ হোসেন আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম পুলিশকে জানায়- দীর্ঘদিন ধরে ইমাম আব্দুল মজিদ মুন্সীর উপর ক্ষোভ ছিলো। প্রায় সময়ই ওই ইমাম জহিরুল ইসলামকে নেশাখোর বলতো, নেশায় বাঁধা দিতো, মেন্টাল (মানসিক রোগী) বলতো। মাটির মসজিদের আশেপাশে আসতেও নিষেধ করতো। আর এ ক্ষোভেই সুযোগ মতো ইমাম আব্দুল মজিদ মুন্সীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে জহিরুল।রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, নিহত আব্দুল মজিদ মুন্সীর বাবার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মাগুরপুর উপজেলার সদর এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত মোসলেম বেপারী। ২০ থেকে ২৫ বছর পূর্বে গোবিন্দপুর মাঝিপাড়া এলাকায় এসে বসবাস করে মাটি মসজিদের ইমাম হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন। শুক্রবার রাতে এশার নামাজ পড়ছিলেন ইমাম আব্দুল মজিদ মুন্সী ও হাবিবুর মিয়া নামে এক মুসল্লি। নামাজ পড়া অবস্থায় জহিরুল ইসলাম কোন কিছু বোঝার আগেই হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আব্দুল মজিদ মুন্সীকে কুপিয়ে হত্যা করে। প্রতিবাদ করায় হাবিবুর মিয়া নামে মুসল্লিকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আব্দুল মজিদ মুন্সীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সজিব জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আব্দুল মজিদ মুন্সী মারা যান। তার গলায়, পেটে ধারালো অস্ত্রের বড় ধরনের আঘাত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এশার নামাজের সময় উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মাঝিপাড়া এলাকার মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটনানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার