২৮ মে, ২০১৭ ১৭:৫৬

বগুড়ার বাজারে নিন্মমানের খেজুর তবুও উচ্চমূল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:

বগুড়ার বাজারে নিন্মমানের খেজুর তবুও উচ্চমূল্য

বগুড়ার বাজারে নিন্মমানের খেজুরে বাজার ভরে উঠেছে। নিন্মমানের খেজুরের সাথে গত বছরের হিমাগারে রাখা খেজুর বাজারে বিক্রি হচ্ছে। নিন্মমানের এই সব খেজুর বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে এই খেজুর বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া শহরের কঠালতলা, স্টেশন রোড, সাতমাথা, থানা রোড, তিনমাথা, চারমাথাসহ বিভিন্ন এলাকায় খেজুর বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে কোলা বাজারে বিক্রি করা বেশিরভাগ খেজুরই গত বছরের বেঁচে যাওয়া এবং হিমাগারে রাখা খেজুর। রমজান মাসে বিক্রির জন্য হিমাগারে রাখা খেজুর এখন বগুড়ার বাজারে বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। পাইকারী বাজারের সাথে খুচরা বিক্রিতে দামের রয়েছে হেরফের। এ নিয়ে ভোক্তাদের রয়েছে নানা অভিযোগ। এসব অভিযোগ নিয়েই বগুড়ায় দেদারছে বিক্রি হচ্ছে খেজুর।
বগুড়ার খেজুর ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রমজান মাস আসার ৪ থেকে ৫ মাস আগেই খেজুর মজুদ করে থাকে। হিমাগারে রেখে এই খেজুর মজুদ করা হয়। হিমাগার থেকে বের করে এই খেজুর মোকামে নেওয়া হয়। সেখান কোলা বাজারের বিক্রির জন্য পাইকারি ব্যবসায়ীরাদের হাতে তুলে দেয় মোকামের ব্যবসায়ীরা। উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে বগুড়ার খেজুরের মোকাম সবচেয়ে বড়। এই মোকাম থেকেই জেলার পাশের জেলাতেও খেজুর বিক্রি হয়ে থাকে।
বিভিন্ন মান ও দামের খেজুর থাকলেও ইরাক থেকে আসা জাহিদী খেজুর (স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিকট ইরাকী বস্তা খেজুর হিসাবে পরিচিত) ও দুবাই থেকে প্যাকেট খেজুরের (১০ কেজির কার্টন) চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ১০ কেজি কার্টনের খেজুরের আবার বিভিন্ন মান ও দাম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলে দাবাস, লুলু. রিজিস ও নাগাল। এছাড়া ৫ থেকে ৯ কেজি’র প্যাকেটে আসা বিভিন্ন খেজুর রয়েছে। এগুলো হলো- মদিনা খেজুর, মরিয়ম খেজুর, তিউনিশিয়া খেজুর সহ বিভিন্ন নামের খেজুর। ব্যবসাীয়রা জানান, কার্টন খেজুরের ( প্রতি কার্টনে ১০কেজি) দাম ও মান মাঝারী হওয়ায় এ খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এর পরে চাহিদা রয়েছে ইরাকী বস্তা খেজুরের। গত বছর বস্তা খেজুর প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার রমজান মাসে শুরু হওয়ায় খোলা বাজারে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর এই একই খেজুর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি।
মাঝারী পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দাবাস খেজুর এক মাস আগে প্রতি ১০ কেজির কার্টন ১১শ' টাকায় পাইকারী বাজারে বিক্রি হলেও এখন মোকামে বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ টাকা দরে। পাইকারী বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে  সাড়ে থেকে ১৭শ’ থেকে ১৮শ টাকা দরে। একই ভাবে নাগাল, রিজিস, লুলু খেজুরের দাম কার্টন প্রতি মোকাম ও পাইকারী বাজার মিলিয়ে প্রতি কার্টনে বেড়েছে ২শ থেকে ৪ শ’ টাকা। তবে ভালো মান ও উচ্চমুল্যের খেজুরের দাম সেতুলনায় কম বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বগুড়ার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহমুদ শরীফ মিটু জানান, বগুড়ায় এবার ভাল মানের খেজুর এসেছে। খেজুরের দাম বেড়েছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ি রমজানের ৫ থেকে ৬ মাস আগে খেজুর হিমাগারে রেখে দিয়েছেন। ওই সময় খেজুরের দাম কম ছিল। এখন রমজান মাসে খেজুরের দাম হয়েছে দিগুণ। ১ মাস আগেও দাবাস খেজুর বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা। সেই খেজুর রমজানে এসে বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা কার্টুন।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর