২৯ মে, ২০১৭ ২১:৫৭

ঘূর্ণিঝড় 'মোরা' মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ১৩২টি সাইক্লোন সেন্টার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

ঘূর্ণিঝড় 'মোরা' মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ১৩২টি সাইক্লোন সেন্টার

সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'র  সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলার উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা শুরু হয়েছে। 

খোলা রাখতে বলা হয়েছে সাইক্লোন সেন্টারগুলো। দুর্যোগকালীন আশ্রয়ের জন্য জেলার ১৩২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক উপজেলায় পাঁচটি করে পিকআপ ও ১০টি করে ইঞ্জিনচালিত নৌযান প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় ওষুধ রিজার্ভ রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। একই সাথে শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার দুই হাজার এবং আশাশুনি উপজেলার এক হাজার তিনশ স্বেচ্ছাসেবককে দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আপাতত বাতিল করা হয়েছে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। বিপদ সংকেত আরও বৃদ্ধি পেলে  গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন জানান, সুন্দরবনে মাছ ও মধু আহরণকারীদের দ্রুত উপকূলে ফিরে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। দুর্যোগকালীন আশ্রয়ের জন্য জেলার ১৩২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় পাঁচটি করে পিকআপ ও ১০টি করে ইঞ্জিনচালিত নৌযান প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সভায় সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সতর্ক রাখার পাশাপাশি তাদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা জানান, তার উপজেলার সব সাইক্লোন সেন্টার খোলা রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/ ২৯ মে, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর