শিরোনাম
৩০ মে, ২০১৭ ১০:৩৮
ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'র প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস

লক্ষ্মীপুরে ঝুঁকি নিয়েও নদীতে মাছ ধরছেন জেলেরা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে ঝুঁকি নিয়েও নদীতে মাছ ধরছেন জেলেরা

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে সোমবার মধ্যরাত থেকে মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চল লক্ষ্মীপুরে হালকা বৃষ্টি ও বাতাস বয়ে যাচ্ছে। নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও কোথাও প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝুঁকি নিয়ে অনেক জেলেকে নদীতে মাছ ধরতে দেখা গেছে। 

এদিকে, মোরা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্র। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেড ক্রিসেন্টের ১১১টি ইউনিট, গঠন করা হয়েছে ৬৫টি মেডিকেল টিম, সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ৬টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা অগ্রিম বরাদ্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম।

তবে রামগতির চর মেহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চর আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, এসব কেন্দ্রে কোন মানুষ আশ্রয় নেয়নি। ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ও গবাদিপশুর টানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসেননি এই উপকূলের বাসিন্দারা। দু'একটি কেন্দ্রে রাতের বেলায় কয়েকজন আশ্রয় নিলেও সকালে তারা ফিরে যান বলে জানান স্থানীয়রা। 

এদিকে রামগতির দূর্গম বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আব্দুল্লাহ ইউনিয়নে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করলেও সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় দুর্যোগে বহু প্রাণহাণির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এছাড়া মোরা আতঙ্কে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাটের লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে শত শত যাত্রী আটকা পড়ে এখন থাকা খাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন বলে জানান তারা। 

বিডি-প্রতিদিন/৩০ মে, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর