শিরোনাম
৩০ মে, ২০১৭ ১৪:২৭

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৩ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৩ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন

দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে অর্ধশতাধিক সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এগুলো থেকে প্রতিদিন সিএনজি বেবি টেক্সি, প্রাইভেকার, মাইক্রোবাস, যাত্রীবাহী বাসসহ শত শত গাড়ি গ্যাস ভর্তি করে আসছিল। কিন্তু  গত ৬ মাস ধরে অন্তত ২৩ টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনকে নানা অভিযোগে বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গাড়ির মালিক ও চালকসহ সংশ্লিষ্টদের।
যার ফলে সরকার প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চরম স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে বলে মালিকরা অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত মহাসড়কে ২৩টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এগুলোর বিরুদ্ধে রিফাইরিং, বিল অপরিশোধ ও অবৈধ সংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়। বন্ধ করে দেয়া সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো হলো; আরএনআর সিএনজি, কুমিল্লা সিএনজি, খোরশেদ আলম সিএনজি, সাবরিয়া সিএনজি, খাজা সিএনজি, স্বজন সিএনজি, রাহামা সিএনজি, মুক্তি সিএনজি, বাংলা গ্যাস, তামজীদ সিএনজি, ভূঁইয়া সিএনজি, হাইওয়ে লিঙ্ক, মিয়াবাজার সিএনজি, এম এ খালেক সিএনজি, চিওড়া সিএনজি ফিলিং স্টেশন, ডায়মন্ড সিএনজি ফিলিং স্টেশন, রিভারভিউ সিএনজি, বিসমিল্লাহ সিএনজি, রানা আরাফাহ সিএনজি, সাকুরা সিএনজি, চৌধুরী সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও মল্লিকা সিএনজি ফিলিং স্টেশন। এরমধ্যে প্রভাবশালীদের তৎপরতায় তড়িঘড়ি করে রহস্যজনক কারণে সংযোগ দেয়া হয়েছে রিভারভিউ, বিসমিল্লাহ, রানা আরাফাহ, সাকুরা, স্বজন, চৌধুরী ও মল্লিকা নামের সিএনজি স্টেশনে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো। কিন্তু বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলায় স্টেশনগুলো তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় স্টেশন মালিকরা প্রায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।  
সিএনজি বেবি টেক্সি চালকরা অভিযোগ করেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মহাসড়কে সিএনজি বেবি টেক্সি চলাচলে নিদিষ্ট সময় বেধে দেয়া হয়।  সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো দূরে হওয়ায় বেবি টেক্সি নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে গ্যাসভর্তি করা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের পরে বেবি টেক্সি চালালে পুলিশের নানা ধরনের হয়রানী ভোগ করতে হয়।
এব্যাপারে মেসার্স এম এ খালেক সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক আলহাজ্ব আবদুল খালেক জানান, কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ও অজুহাত ছাড়াই বাখরাবাদ আমার দুইটি ফিলিং ষ্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর