ঝালকাঠি শহরে কলাবাগান এলাকায় পূর্ব শত্রুতার অভিযোগ কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। মাসের নির্ধারিত মামলা রেকর্ডের পর এ মাসে আর কোনো মামলা রেকর্ড হবে না বলে আহতদের থানা থেকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
গত শনিবার কলাবাগান এলাকার সুলতান হোসেন হাওলাদার রাত সাড়ে ৭টার সময় নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে নতুন কলাবাগান এলাকায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার উপর লোহার রড ও লাঠি সোঠা নিয়ে হামলা চালায় ওই কয়েকজন। সুলতানের অভিযোগ, এদের মধ্যে ছিলেন আবকর দেওয়ানেরপুত্র বাচ্চু দেওয়ান, তার পুত্র বেলাল দেওয়ান, শান্ত দেওয়ান, জামাই মিজানুর, আ. ছালাম, শামিম, ছেলে সোহাগ, মেয়ে রেজিনা বেগম, রুবি বেগমসহ আরও অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
এ সময় সুলতান হাওলাদারের মাথা ফেটে যায়। তার ডাক চিৎকারে তার ভায়রার ছেলে রিয়াদুল ওরফে মিলন মৃধা এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়ে তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়িক নগদ কালেকশনের ১ লাখ টাকা, স্বর্ণের চেইন ও একটি ব্যাংক চেক ছিনিয়ে নেয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।এ ঘটনায় আতহদের পক্ষে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলায় করতে গেলে বর্তমানে মাসের নিধারিত সংখ্যক মামলার পর কোনো মামলা রেকর্ড করা হবে না বলে জানান সদর থানার ওসি(তদন্ত) ফারুক আলম। মামলা না নিয়ে তিনি আহতদের থানা থেকে ফিরিয়ে দেন। অথচ একই ঘটনায় হামলাকারী পক্ষ আহতেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক আলম জানান, থানায় প্রতি মাসের নির্ধারিত সংখ্যক মামলা রেকর্ডের পর কোন অভিযোগ আসলে তদন্ত করে পরের মাসে মামলা রেকর্ড নেওয়া হতে পারে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার যোবায়েদুর রহমান জানান, ‘ওসি যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে। এ ব্যাপারে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করুন বলে ফোন লাইন কেটে দেন।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ মে, ২০১৭/মাহবুব