৩০ মে, ২০১৭ ১৫:৫১
সাংবাদিক নির্যাতন

সেই চেয়ারম্যান কিবরিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এজাহারের নির্দেশ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:


সেই চেয়ারম্যান কিবরিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এজাহারের নির্দেশ

কাঠালিয়ায় সাংবাদিক এইচ এম বাদলের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠি সিনিয়র জুুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রুবাইয়া আমেনা এই আদেশ দেন।

গত ২১ মে হামলার শিকার সাংবাদিক এইচএম বাদল বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া সিকদারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় চিকিৎসাজনিত কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকার জন্য ৩০ মে শুনানির দিন ধার্য করেন। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন, কিবরিয়ার অন্যতম সহযোগী মনির ওরফে জামাই মনির ওরফে ইয়াবা মনির, শহিদুল ইসলাম ওরফে খুনি শহিদ, সেলিম হাওলাদার, আনেচ ওরফে টেম্পু আনেচ, মনির খা ওরফে গাজা মনির, এনাম কাজী ওরফে ইয়াবা ডিলার কাজি, মিলন মাষ্টার ওরফে ভুয়া মাস্টার ও মিলন সিকদার। 

উল্লেখ্য, রাজাপুর-কাঠালিয়ার এমপি বিএইচ হারুন’র পরিবারের মালিকানাধীন রাজধানীর বহুল আলোচিত বনানীর হোটেল রেইট্রিতে বিশ্ববিদ্যালয় দু’ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে লাইক দেয় কাঠালিয়ার সাংবাদিক বাদল। এই অপরাধে উপজেলা চেয়ারম্যান কিবরিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক বাদলকে বাজার থেকে উপজেলা পরিষদে ধরে এনে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। 

এ ঘটনার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডাররা সাংবাদিক বাদল মোটর সাইকেলে আহত হয়েছে মর্মে সকলের কাছে বলতে বলে এবং কোনো মামলা করবেনা শর্তে ৩শ' টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। সাংবাদিক বাদল পালিয়ে আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানেও সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি দেয়। খবর পেয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ঝালকাঠি জেলার নেতৃবৃন্দ বাদলকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে বাদল সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ২নং বেডে চিকিৎসাধীন আছে। 

আহত সাংবাদিক বাদল বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কাঠালিয়া উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে গত ২১ মে দেশব্যাপী স্মারকলিপি ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় দোষী উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডারদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করে সংগঠনটির জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। 
 
আদালতে মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিক বাদল বলেন, দেশে জনপ্রতিনিধিদের হাতে আর কোন সাংবাদিক নির্যাতন নয়। একই সঙ্গে তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।


আদালতে মামলার বাদীপক্ষে অ্যাড. আক্কাস সিকদার, অ্যাড. জাকির হোসেন, মানিক আচার্য্য শুনানিতে অংশ নেয়। 

বিডি-প্রতিদিন/৩০ মে, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর