৩০ মে, ২০১৭ ১৬:৩২

অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন সেই স্কুলদপ্তরী প্রমথ

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:

অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন সেই স্কুলদপ্তরী প্রমথ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গোপাল চাঁদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী প্রমথ রঞ্জন সরকারের আত্মহত্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। প্রমথ রঞ্জন (৫৮) খুব সহজে বা মনের আনন্দে আত্মহত্যা করেননি। তাকে আত্মহননে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনার ৬ দিন পরে মঙ্গলবার এমন অভিযোগ তুলেছেন প্রমথের একমাত্র ছেলে সন্তান কৌশিক সরকার। 

কৌশিক বলেন, ‘আমার বাবা একজন পরিচ্ছন্ন ও পরোপকারী লোক ছিলেন। তিনি ছোট চাকুরি করতেন কিন্তু জনপ্রিয় ছিলেন। বিপুল হালদারের দখলীয় কিছু জমি ছাড়িয়ে আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন। এজন্য সহকারী শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র মন্ডল আমার বাবার সাথে আপত্তিকর আচরণ করেছেন। বিদ্যালয়ে সভা করেও বাবাকে অপমান করা হয়েছে’। তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, প্রমথের সাথে আমার কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। এখন বিষয়টি ভিন্ন দিকে ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। 

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে দিবাগত রাত ৩টার দিকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রমথ রঞ্জন। তার এ আত্মহত্যা নিয়ে নানামুখী গুঞ্জন ওঠায় দাহ করানোর আগেই পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত করে।

এ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক দেবব্রত রায় বলেন, প্রমথ রঞ্জন ৬ মাস পূর্বে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। সভাপতির উপস্থিতিতে তার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি সাগর সাধু ঠাকুর বলেন, ‘দপ্তরী প্রমথের আত্মহত্যার নেপথ্যে বিদ্যালয়ের কারো হাত রয়েছে’ এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিডি-প্রতিদিন/৩০ মে, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর