২১ জুন, ২০১৭ ২২:৪৬

পাবনায় যুবলীগের দু'গ্রুপের ইফতার মাহফিল নিয়ে উত্তেজনা

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনায় যুবলীগের দু'গ্রুপের ইফতার মাহফিল নিয়ে উত্তেজনা

পাবনায় দলীয় কার্যালয়ে যুবলীগের দুই গ্রুপের ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনা দেখা দিলে দলীয় কার্যালয় দখলে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে পাবনা শহরে এই ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ উভয় গ্রুপকে পৃথক পৃথক স্থানে ইফতার মাহফিল করার নির্দেশ দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি রাত ৮ টা পর্যন্ত দখলে রাখে। এ সময় এক গ্রুপ জোরপূর্বক দলীয় কার্যালয় দখলের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। শহরে চরম উত্তেজনা দেয়, ইফতার পূর্ব মুহুর্তে ঈদেও কেনাকাটা করতে ব্যাস্ত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুলিশ।
পরে পাবনা সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগের এক গ্রুপ নির্ধারিত ভ্যেনূ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় পরিবর্তে শহরের সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুল মাঠে এই ইফতার মাহফিল করে। অপর গ্রুপর পাবনা টাউন হল মাঠে ইফতার করে।
সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে ইফতার পূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রকিব হাসান টিপু। এছাড়াও বক্তব্য দেন, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ ইকবাল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক নাজিমুদ্দিন গামা, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি হেলালুদ্দিন প্রাং, জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাদশা, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়খ আবুল খায়ের রাজা, পৌর যুবলীগের আহবায়ক শ্রী বিশ্বজিত ঘোষ, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক টিটিু বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা মামুন আজিজ খান তুষার, তমাল হোসেন রন্টু, আব্দুল্লাহ আল মামুন আকাশ, রকিবুল হাসান মিলন, আতাউল হক সুমন, শ্রী অমল সেন, আলো হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল করিম সুমন প্রমুখ। উক্ত ইফতার মাহফিলে প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়।  
অপরদিকে পাবনা টাউন হল মাঠে উপজেলা যুবলীগের অপর গ্রুপের সভাপতি ইকরামুল হক চাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী ছিলেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফ উদ্দিন প্রধান, বিশেষ অতিথী ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন খান, দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান আলী হাসান প্রমুখ।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা সুষ্ঠু ও শান্তির জন্যে উভয় গ্রুপকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের বাইরে ইফতার করার জন্যে অনুরোধ জানাই। পরে যুবলীগ শহরের একটি বিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিল করলেও বন্ধু সমিতির লোকজন জোর করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইফতার করার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশী বাধায় তারা পাবনা টাউন হলে ইফতার মাহফিল করতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, আইনশৃংখলা অবনতি যে না হয় সে লক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বিষেশ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।   

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর