২২ জুন, ২০১৭ ১৪:৩২

মুক্তিপণ চেয়ে সুন্দরবন থেকে ১০ জেলে অপহরণ

শেখ আহসানুল করিম,বাগেরহাট:

মুক্তিপণ চেয়ে সুন্দরবন থেকে ১০ জেলে অপহরণ

ফাইল ছবি

ঈদকে সামনে রেখে পূর্ব সুন্দরবনে সুমন বাহিনী নামের একটি নতুন দস্যু বাহিনী দস্যুতা শুরু করেছে। গত দু’দিনের ব্যবধানে দস্যু গ্রুপের সদস্যরা সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় থেকে কমপক্ষে ১০ জেলেকে অপহরণ করেছে। দাবি করছে মোটা অংকের চাঁদা।

জেলেদের সূত্র জানায়, গত ২০ ও ২১ জুন সন্ধ্যায় সুমন বাহিনী নামের ৬-৭ জনের একটি দস্যু দল চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বলবুনিয়া ও কলামুলা এলাকায় অবস্থানরত জেলেদের বহরে হামলা চালায়। 

এ সময় দস্যুরা ৮-১০ টি নৌকায় হানা দিয়ে সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলার রতিয়া রাজাপুর ও উত্তর রাজাপুর এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী সগির আকন, ছরোয়ার গাজী, জাকির হোসেন ও চাঁনমিয়া আকনের নৌকার জেলে উত্তর রাজাপুর ও ধানসাগর এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ হাওলাদার (৪৫), রাজ্জাক হাওলাদার (৫০), ফরহাদ ফকির (২৭), সোহেলা মৃধা (২৪) ও আজিজ মৃধা (৩৫) সহ ১০ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়। 

পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধশত নৌকার প্রত্যেকটির অনুকূলে ২০-২৫ হাজার টাকা করে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে ০১৭৮১৯২৯৭০০ নং একটি মুঠোফোন নাম্বার দিয়ে নৌকার মালিকদের (মহাজনদের) যোগাযোগের নির্দেশ দেন। 

দাবীকৃত চাঁদার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আটক জেলেদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় দস্যুরা। বাহিনী প্রধান সুমন ও তাঁর সহযোগী তরিকুল ইসলামের বাড়ি মংলা উপজেলার ঢাইনমারি ও বৈদ্যমারী এলাকায়। 

এছাড়া তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আব্বাস ওরফে জিল্লুর মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে ওই দস্যু বাহিনী সুন্দরবনে আত্মপ্রকাশ করে।

এ বিষয়ে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন। 

এছাড়া ধানসাগর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.আই তৌহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং তাদের পক্ষ থেকে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিডিপ্রতিদিন/ ২২ জুন, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর