২২ জুন, ২০১৭ ১৮:৩৪

সালিশী নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

সালিশী নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুরের নূরুল আমিন নামে এক শ্রমিককে গ্রাম্য সালিশে নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহসানুল কবির রিপনসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শিপন বড়ুয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে উক্ত মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে গত ২৯ মে সদর উপজেলার দত্তপাড়ার বড়ালিয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই শ্রমিককে নির্যাতন করা হয়। 

জানা যায়, স্থানীয় শ্রমিক নুরুল আমিন কর্তৃক অপর শ্রমিককে মারধরের বিচার সালিশে অভিযুক্ত নুরুল আমিনকে ২০টি বেত্রাঘাতের নির্দেশ, সাথে আর্থিক জরিমানা ও নাকে খত দিতে বাধ্য করেন গ্রাম্য সালিশদাররা। স্থানীয় বড়ালিয়া গ্রামের সেই সালিশের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই ভিডিওটিতে দেখা যায় গ্রাম পুলিশ এক ব্যাক্তিকে পিটাচ্ছেন, কিছুক্ষনপর ইউপি চেয়ারম্যান লাঠি হাতে নিয়ে তাকে নাকে খত দিতে বাধ্য করেন। পরে অপর শ্রমিকের কাছে ক্ষমা ছেয়ে ছাড়া পান ওই শ্রমিক। এঘটনার খবর একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। 

যদিও চেয়ারম্যান রিপন বলছেন, তিনি সালিশের রায় দেননি, তাকে মারধরও করেননি। এদিকে গত ২১ জুন দুপুরে লক্ষীপুরে সালিশে নির্যাতনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মো. তাছেব হোসাইন আদালতে একটি রিট (৯১৮০/২০১৭) করেন। বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিশ্বদেব চক্রবর্তীর দ্বৈত অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানী শেষে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।

রিটকারী আইনজীবি মো. তাছেব হোসাইন গণমাধ্যককে জানান, ওই নির্যাতিত পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আদালত লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় আদালত চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকতার হোসেন ও দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল করিব রিপনকে আগামী ৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন বলে জানান এ আইনজীবী।
এদিকে গত বুধবার রাতে ৭ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রিপনকে প্রধান করে গ্রাম পুলিশ মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৭জনকে আসামী করা হয়। পরে গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর, সালিশদার  জাহাঙ্গীর আলম, কাজী ইউসুফ ও কাজী আলমগীর হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে জানান চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি।  

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর