২৪ জুন, ২০১৭ ১৬:৩৭

ঈদকে সামনে রেখে নতুন সাজে কুয়াকাটা

উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) :

ঈদকে সামনে রেখে নতুন সাজে কুয়াকাটা

ঈদকে সামনে রেখে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন সাজে। হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষ নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ঈদের লম্বা ছুটি উপভোগ করতে পর্যটকরা হোটেলগুলোতে আগাম বুকিং দিতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে হোটেল মোটেলগুলো ঘষামাজা ও রঙের কাজ শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে এ বছর পর্যটকদের সমাগম অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সেখানকার হোটেল ব্যবসায়ীরা। সৈকতে পর্যটকদের ঘুরতে কোন প্রকার অসুবিধা যেন না হয় সেজন্য পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, পর্যটকদের ঈদ আনন্দ আরো বড়িয়ে দিতে স্থানীয় মার্কেটের রাখাইন তরুণীরা বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসে গেছেন। সৈকতে বসার বেঞ্চ ও ছাতায় এখন নতুনত্ত্বের ছোয়া। এছাড়া কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান নারিকেল কুঞ্জ, ইকোপার্ক, জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, সীমা বৌদ্ধবিহার, ফাতরার বনাঞ্চল, গঙ্গামতি, কাউয়ারচর, লেম্বুরচর, শুঁটকি পল্লীসহ সৈকতের জিরোপয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর সমুদ্রের বেলাভূমি, একাধিক নয়নাভিরাম লেক, সংরক্ষিত বনায়ন ও ইলিশ পার্ক যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটিতে কর্মজীবী মানুষ একটু বিনোদনের জন্য ছুটে আসবেন পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে। এজন্য আমরা সকল ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। 
 
কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, আমাদের ইলিশ পার্কটি অনেক আগেই ধোয়া-মোছা করে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। ইলিশের স্বাদ নেওয়ার জন্য আগেভাগেই অর্ডার দিতে শুরু করেছে পর্যটকরা। খাবারের চাহিদা মেটাতে সামুদ্রিক মাছ মজুদসহ সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ট্যুরিস্ট বোর্ড মালিক সমিতির পরিচালক হোসাইন আমির জানান, ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের নৌপথে ভ্রমণের জন্য নৌ-তরীগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের বিভিন্ন স্পটে ঘুরে বেড়ানো ও তথ্য জানার জন্য সৈকতের আশপাশে একাধিক ট্যুরিজম তথ্য সেবা কেন্দ্র রয়েছে।

কুয়াকাটার বিলাসবহুল হোটেল সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলার ভারপ্রাপ্ত আপারেশন ম্যানেজান গোলাম মোর্শেদ খান জানান, ঈদ উপলক্ষে আমাদের হোটেলের রুমের মূল্যছাড় দেয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ফোন কল ও আনলাইনের মাধ্যমে বুকিং দিচ্ছে। এছাড়া আমাদের হোটেলের পক্ষ থেকে ঈদের এক, দুই, তিন দিন লাইফ বারবিকিউ ও ডিনার পার্টির ব্যবস্থাও রয়েছে।

হোটেল বিচ হ্যাভেনের ইনচার্জ মো.বায়জীদ মল্লিক জানান, অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য পর্যটকরা ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। হোটেলে পরিষ্কার-পরিছন্নতার কাজও চলছে। 

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, রমজান মাসে কুয়াকাটা প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল। পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা ফেরিমুক্ত থাকায় এ বছর ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

কুয়াকাটার পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে সৈকতে পরিষ্কার-পরিছন্নতার কাজ চলছে। কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জেনের এএসপি আব্দুল করিম জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য জিরো পায়েন্টসহ সৈকতের তিনটি পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টা আমাদের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। আশাকরি কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটবে না।

 


বিডি প্রতিদিন/২৪ জুন ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর