২৯ জুন, ২০১৭ ১৫:৪৮

ঈদে দিনাজপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

ঈদে দিনাজপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

ঈদ পরবর্তী দিনাজপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এখনও কাটেনি ঈদের আমেজ। এ অঞ্চলের তাপদাহের ক্লান্তিময় এবং একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে আনন্দের সন্ধানে নিরিবিলি একটু প্রশান্তি নিতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। 

ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ ও উৎসবে বিনোদন পিপাসুদের স্বাগত জানাতে বর্ণীল সাজে সেজেছে দিনাজপুরের সিটিপার্ক, নয়নাভিরাম মায়াবী স্বপ্নময় ভুবন স্বপ্নপুরীসহ রামসাগর, বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্টসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র।

ঈদের দিন থেকে এসব বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী নারী-পুরুষের ভিড় চোখে পড়ার মত। 

দিনাজপুর সিটি পার্কের দেয়ালে ও বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মুর‌্যালে এ অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। শহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত নান্দনিক সৌন্দর্য্যরে এবং প্রাকৃতিক নৈসর্গিক বিনোদন জগৎ সিটিপার্ক। এখানে রয়েছে বিভিন্ন পশু পাখির অবিকল ভাস্কর্য, ইলেকট্রিক দোলনা, নাগরদোলা, ট্রেন ও এ্যাকুরিয়াম। 

উত্তরবঙ্গের চিত্ত বিনোদনের জন্য সবাই ভিড় জমায় দিনাজপুর শহর থেকে সড়ক পথে বাস-ট্রাক-প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাসে করে ৫২ কিলোমিটার দূরে নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বপ্নপুরী বিনোদন কেন্দ্রতে। 

স্বপ্নপুরীর গেটে পৌঁছালে স্বাগত জানাবে দন্ডায়মান দুটি বিশাল আকৃতির পরীর প্রতিকৃতি। এ দুটি পরী তাদের দু’ডানা প্রসারিত করে ও একহাত উঁচু করে গেটের দু’পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গেট পেরিয়ে পথের দু’ধারে বিভিন্ন গাছের সমারোহ। চোখে পড়বে পথের দু’ধারে সারি সারি দেবদারু গাছ। আবার নারিকেল গাছের সারি। মনমুগ্ধকর পরিবেশে নিঃস্তবদ্ধ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে মনে পড়বে, রবী ঠাকুর কিংবা কাজী নজরুলের গানগুলি। এখানে রয়েছে কৃত্রিম হ্রদ, পাহাড়, লেক, উদ্যান, বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছ-গাছালি ও ফুলের সমারোহ। 

স্বপ্নপুরীর মেঠো পথ চলতে চলতে পর্যটক মুকুল জানায়, এখানে দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। একেবারে মনের মতো। দেখবেন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম কিংবা ঘাড়কুঁজো হয়ে বসে থাকা অবসন্ন কৃষকের ভাস্কর্য। সেখানে সারিবদ্ধ চেয়ার, টুল বসানো আছে। হংসরাজ সাম্পানে চড়ে স্বচ্ছ নীল পানির লেকে হারিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। সাম্পানে যেতে যেতে দেখা যায় কোথাও একাকী দাঁড়িয়ে আছে নারী, মাথা নিচু করে বসে আছে হতাশাগ্রস্ত যুবক অথবা ফুটে আছে বিশালকৃতি কচুপাতা। এরপর রয়েছে কৃত্রিম পশু দুনিয়া। প্রবেশ পথে দুটি ড্রাগন সাদর সম্ভাষণ জানানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এরপর দু’এক পা ফেলতেই চমকে উঠতে হয়। সামনেই পথ জুড়ে হাঁ করা এক নর-করোটি। এই নর-করোটির মুখের ভেতর দিয়েই মূল পশু দুনিয়ার পৌছাতে হবে। এখানে রয়েছে কৃত্রিম পাহাড় ও ঝরণা। ঝরণার পানি গড়িয়ে একটি ছোট জলাশয়ে পড়ছে। লেকের পার্শ্বে রয়েছে বাংলাদেশের। অবসর যাপনের জন্য রয়েছে একাধিক মনোমুগ্ধকর ডাকবাংলো। 

এ ব্যাপারে স্বপ্নপুরীর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমানে জাপার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, বাংলাদেশের সেরা অবকাশ যাপনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে স্বপ্নপুরীকে। তিনি বলেন, আমার শেষ স্বপ্ন এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ স্টুডিও  নির্মাণ করার।

 

বিডি প্রতিদিন/২৯ জুন ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর