চট্টগ্রামে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী মার্শালিং ইয়ার্ডের ভিতরেই কাজ করার সময় সাপের কামড়ে মোহাম্মদ সেলিম নামে এক রেল কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ শান্টিং কর্মচরী সেলিমকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সেখানে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান পূর্বাঞ্চলের জিএম মো. আবদুল হাই। তবে রেলের এই কর্মচারিকে কোন বিষধর সাপে কাটেনি বলে জানান তিনি।
ডিআরএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা গুরুতর কিছু না। তিনি এখন ভাল আছেন। হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই জানালেন প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা। সাপে কামড়ালে যে চিকিৎসা দিতে হয় সেটা রেলওয়ে হাসপাতালে নেই। তাই চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, মার্শালিং ইয়ার্ডে আগাছা বেড়েছে। এসব পরিস্কার করতে গেলে পরিবেশ নিয়ে কথা ওঠে। অন্যদিকে কুকুর নিধনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেওয়ারিশ কুকুর তাড়ানো যাচ্ছে না। তবে এখন দ্রুতই আগাছা পরিস্কার করে কুকুর তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।
রেল শ্রমিক নেতা কামাল পারভেজ বাদল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিস্কার না করায় মার্শালিং ইয়ার্ডে জঙ্গলে ভরে গেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও কোন ধরণেল ব্যবস্থা না নেয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ইয়ার্ডের কর্মচারিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে মার্শালিং ইয়ার্ডে কাজ করার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতও বেড়েছে।
বুধবার কুকুরের কামড়ে এক কর্মচারী আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের আগে আমরা পরিবেশের বিষয়টি ডিআরএমকে জানিয়ে জঙ্গল পরিস্কারের দাবি জানানো হয়। এতেও কোন ব্যবস্থা নেননি। এরই মধ্যে আজ এই সাপের কামড়ের ঘটনার পর কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই ভয়ে কাজ করতেও অনিহা প্রকাশ করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১২