২৯ জুন, ২০১৭ ২০:৫৪

আশুলিয়ায় মাদক ব্যবসার অভিযোগে যুবলীগ নেতা বহিষ্কার

সাভার প্রতিনিধি

আশুলিয়ায় মাদক ব্যবসার অভিযোগে যুবলীগ নেতা বহিষ্কার

কুসুম মোল্লা

সাভারে কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছেনা মরণ নেশা ইয়াবা বানিজ্য। শুধুমাত্র আশুলিয়ার একটি সড়ক ও নৌপথ দিয়ে ইয়াবা পাচার বন্ধ করতে ঢাকা জেলার পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আশুলিয়া টঙ্গাবাড়ী দিয়ে প্রতিদিনই ঢুকছে ইয়াবার চালান। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় যুবলীগ সহ-সভাপতি কুসুম মোল্লার ইয়াবা পাচারের সিন্ডিকেট রয়েছে। 

স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, "জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সহিংসতার সাথে জড়িত ও হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় আনা ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "জনগণের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। আশুলিয়ার ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি কুসুম মোল্লা একজন ভুমি দস্যু, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার প্রমাণ আছে। তাকে যুবলীগের থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।"

আশুলিয়ার যুবলীগের সভাপতি তালুকদার মোয়াজ্জেম হোসেন দুলালও বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সহ-সভাপতি কুসুম মোল্লাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তবে কুসুম মোল্লা বলেন, "কোনো অভিযোগই সত্য নয়। বিশেষ একটি মহল এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।"

জানা গেছে, সাভার উপজেলার অন্তত পক্ষে ২০ টি ইয়াবা সিন্ডিকেট তৎপর রয়েছে। আশুলিয়ার মাদক ব্যবসার সাথে সংশিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাভার উপজেলার চানগাঁও, পাড়াগ্রাম, রুস্তমপুর, আড়া গ্রাম,আদর্শ গ্রাম, আউকপাড়া, দোসাইদ, কুমকুমারী, দক্তপাড়া, দুগাপুর, কাঠগড়া, দিয়ে প্রায়ই ইয়াবার চালান আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পর্যটকবেশী কতিপয় যুবলীগ নেতা কুসুম মোল্লা বিলাস বহুল গাড়ীতে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অভিনব কায়দায় ইয়াবা নিয়ে আসছে। আইন প্রযোগকারী সংস্থার লোকজন অনেক ক্ষেত্রে আশুলিয়ার ইউনিয়ের চেয়ারম্যানের ও এমপি লোক মনে করে তার গাড়ী তল্লাসীর বাইরে রাখে।

সাভার উপজেলায় সিন্ডিকেটগুলো স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে মাসিক চুক্তিতে ম্যানেজের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা ওপেন সিক্রেটভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সিন্ডিকেটের মধ্যে সাভার উপজেলার আশুলিয়ার কুসুম মোল্লা, দোসাইদ এলাকার শুকুর আলী, আউক পাড়া এলাকার নাজিম উদ্দিন, ইলিয়াজ, রাজু, ইব্রাহিম, মামুন হোসেন, বাইসাদ এলাকার সেলিম, চাঁরাবাগ এলাকার দানেজ মিয়া, উলাইল এলাকার কালু মিয়া, আমিনবাজার ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামিম মোল্ল্যা ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলো। সম্প্রতি শামিম মোল্ল্যা বিপুল পরিমান ইয়াবাহ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন , প্রতিদিনই ইয়াবা আটকের ঘটনা ঘটছে। সড়ক পথে সুনিদ্ধিষ্ট তথ্য ছাড়া ইয়াবা আটক করা কঠিন। তবুও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

 

 


বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৫

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর