পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদী তীর রক্ষা বাঁধে ফের ধ্বস নেমেছে। এ নিয়ে সাত কিলোমিটার বাঁধের আটটি পয়েন্টে আটবার ধ্বসে সাড়ে প্রায় ৫শ মিটার বিলীন হয়েছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় খাসকাউলিয়া পয়েন্টে ভাঙ্গনে বাঁধের ৬০ মিটার বিলীন হয়ে বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হতে শুরু করে। মুহুর্তে মধ্যে বেশ কয়েকটি বসতভিটা বিলীন হয়ে যায়। আতঙ্কে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি করে ঘরবাড়ী সরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু জায়গা না থাকায় এসব পরিবারকে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এ বাস্তবতায় চৌহালীবাসী তাদেরকে রক্ষার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কোটি কিলোমিটার দীর্ঘ নদী তীর সংরক্ষন বাঁধের কাজ শুরু করে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধে নির্মাণ হওয়ায় ভাঙ্গনকবলিত চৌহাল স্থানীয়রা আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে বার বার বাঁধটি ধ্বসে যাওয়ায় তাদের আশা এখন হতাশায় পরিণত হচ্ছে। পরপর আটবার বাঁধটিতে ধ্বস নেমেছে।
চৌহালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যমুনার পানির তীব্র স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চর জাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় ধস দেখা দেয়। দুপুর পর্যন্ত এ বাঁধটির প্রায় ৫০মিটার ধসে গিয়ে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, পানির নীচে বাঁধের লাঞ্চিং পয়েন্ট থেকে অন্তত ১৭ মিটার পানির গভীরতা বেশী হয়ে গেছে। যে কারণে ব্লকগুলো নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। এ কারণে ধ্বসের দেখা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। তারপরেও জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, যমুনার রূপ বোঝা মুশকিল। কখন কোন রূপ ধারণ করে তা বলা সম্ভব না। কখনও যমুনা কখনও যমুনা অপ্রতিরোধ্য রূপ ধারন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২