বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত আলিমুন শেখ নামে ৯ বছরের এক হতদরিদ্র শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত এই শিশুটিকে বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স ইনষ্টিটিউটে পঠিয়ে দেয়া হয়।
জাহিদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক শৈল্য চিকিৎসক অজানা রোগে আক্রান্ত ওই শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ছবিটি ফেইসবুকে ভাররাল হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন শিশু আলিমুলের বাড়িতে গিয়ে দ্রুত তাকে বাগেরহাট হাসপাতালে ভর্তি করতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিদের্শ দেয়। জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ হতদরিদ্র শিশুকে সোমবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ আহমেদকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড হতদরিদ্র শিশুর অজ্ঞাত রোগটি সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করলে হতদরিদ্র শিশুটিকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিতে বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৩ ডা. জুলফিকার আলী লেলিন নির্দেশে শিশুটিকে বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স ইনষ্টিটিউটে পঠিয়ে দেয়া হয়। এসময়ে বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক সরদার নাহিয়ান আল সুলতান ওশানসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসময়ে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।  
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তির পর অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। বাগেরহাটে তার উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। তাই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাগেরহাট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আলিমুন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর আজাহার শেখর ছোট ছেলে। সে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত সোনাকান্দর হাজি বাড়ি জামে মসজিদের মসজিদ ভিক্তিক মক্তবের শিশু শ্রেণির ছাত্র।