২১ জুলাই, ২০১৭ ২১:১৯

ফেনীতে ছয় পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত

ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীতে ছয় পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরাম মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১২০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় মুহুরী নদীর ৪টি পয়েন্ট, কহুয়া নদী ও সিলোনীয়া নদীর দুটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষ। ফেনী-পরশুরাম সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

গত তিন দিনের টানা বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদী, কহুয়া নদী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর, ঘনিয়ামোড়া, জয়পুর ও টেটেশ্বর অংশে কহুয়া নদীর বাঘমারা ও সিলোনিয়া নদীর নবাবপুর অংশে বাঁধ ভেঙেছে। ওইসব স্থানে ৩০ থেকে ৫০ মিটার করে বাঁধ ধসে যাওয়ায় নদীর পানি অন্তত ১০টি গ্রামে প্রবেশ করেছে। 

পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, বৈরাগপুর, জয়পুর, টেটেশ্বর, ঘনিয়ামোড়া, ঘনিয়ামোড়া ও মনিপুর গ্রামের জনগণ।  পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার অন্তত ১০ হাজার মানুষ। ভেসে গেছে এসব এলাকার কয়েক শতাধিক মাছের খামার ও পুকুর। নষ্ট হয়েছে আমনের বীজতলা। 

এদিকে ফেনী-পরশুরাম সড়কে কোমর পর্যন্ত পানিতে তলীয়ে যাওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।  বন্যা নিয়ন্ত্রক গার্ড ওয়ালের (বাজার রক্ষা বাঁধ) উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ফুলগাজি বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে বৃষ্টি বন্ধ না হলে ও পাহাড়ি ঢলের পানি না কমলে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামত করা সম্বভ হবে না বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কহিনুর আলম। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত পানিবন্দী গ্রামগুলোর মানুষের মাঝে কোন ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে দাবি করেছে এলাকাবাসী।

 

বিডি প্রতিদিন/২১ জুলাই ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর