২২ জুলাই, ২০১৭ ২০:২৯

কলাপাড়ার মরণফাঁদ লোন্দা-নোমরহাট-কালুমিয়ার বাজার সড়ক

কলাপাড়া,(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি,

কলাপাড়ার মরণফাঁদ লোন্দা-নোমরহাট-কালুমিয়ার বাজার সড়ক

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা-নোমরহাট-কালুমিয়ার বাজার সড়ক যেন মরণফাঁদ। অনেক আগেই কার্পেটিং উঠে গেছে। কোথাও কোথাও সৃস্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের। আবার এ সড়কেই চলাচল করছে পায়রা ১৩২০ মেঘা ওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়ী গাড়ী। এর ফলে বর্তমানে কার্পেটিং ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে আরও দুই থেকে তিন ফুট অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার সড়কের এখন এমনই অবস্থা হয়ে গেছে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা-নোমরহাট-কালুমিয়ার বাজারের ১৯ কিলোমিটার. সড়কের কোথাও কোথাও কুয়ার মতো গর্তের সৃস্টি হয়েছে। ফলে এক ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে লাগছে দুই ঘন্টা। চরম ঝুকি নিয়ে মোটর সাইকেল ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। বড় যানবাহন চলাচলে অনেক সময় আটকে গিয়ে সাধারন মানুষের হাটা চলাচলও অনেক সময় বন্ধে হয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল সরবরাহের বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্টসহ এনডিই কোম্পনির বিভিন্ন মালামাল বোঝাই ভাড়ী যানবাহন চলাচল করায় সড়কটির এমন বেহাল দশার সৃস্টি হয়েছে। এখন কার্যত এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অসহায় ভুক্তভোগি হাজারো মানুষ কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে পায়ে হেটেই এ সড়কে চলাচল করছে। 

স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী রেজাউল বলেন, সড়কটিতে ছোট-বড় খানা-খন্দদের সৃষ্টি হওয়ায় কষ্টের শেষ নেই। প্রতিনিয়ত মালামাল উপজেলা সদর থেকে আনা ও নেয়া করতে হয়। সড়কটির বেহাল দশার কারনে এখন ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে।
 
ধানখালী ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী রিয়ামনি বলেন, এসড়ক দিয়েই প্রতিদিন কলেজে আসা-যাওয়া করতে হয়। রাস্তা ভাঙ্গা হওয়ায় গাড়ীতে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। ফলে অনেক সময় পায়ে হেঁটেই কলেজে যেতে হয়। 

ইউপি সদস্য বজলুর রহমান জানান, রাস্তাটি সম্পূর্ন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গাড়ি চালাতে না পেরে অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। দু’টি কলেজ,পাঁচটি স্কুল ও তিনটি মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা।
 
ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ লতিফ গাজী জানান, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এনডিই কোম্পনীর অতিরিক্ত ওজন নিয়ে গাড়ী চলাচল করার কারনে রাস্তার ছোট-বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। 
এ ব্যাপরে কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মান্নান সাংবাদিকদের জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।

 


বিডি-প্রতিদিন/ ২২ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৭

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর