২২ জুলাই, ২০১৭ ২০:৩৪

রাঙামাটির ঘাগড়া ঝরনাকে ঘিরে বখাটেদের আস্তানা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটির ঘাগড়া ঝরনাকে ঘিরে বখাটেদের আস্তানা

রাঙামাটি শহরের প্রবেশমুখ ঘাগড়া। এ অঞ্চলের পাহাড়ের কোল বেয়ে নেমে এসেছে অপূর্ব সুন্দরী ঘাগড়া পাহাড়ি ঝরনা। ভরা বর্ষা মৌসুমে পূর্ণ রূপে এসেছে ঝরনাটি। সেজেছে প্রকৃতির সাজে। যার টানে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে শত শত পর্যটক। কিন্তু ঝরনাস্থলে পৌঁছালেই আনন্দ বিলীন হয়ে অনেকেরই। কারণ এ ঝরনা এখন স্থানীয় কিছু উপজাতি বখাটে যুবকদের দখলে। 

মাতাল অবস্থায় হেনস্থা করা হয় পর্যটকদের। তাদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পায়না স্থানীয়রাও। এসব বখাটে যুবক প্রভাব খাঁটিয়ে এলাকা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগও রয়েছে। প্রতিবাদ করলেই চলে তাদের নির্যাতন। এমনটাই জানালেন স্থানীয় রোখসানা আক্তার রিনা। 

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় এ এলাকায় কিছু উপজাতি বখাটে যুবক মাতাল অবস্থায় পর্যটক ও স্থানীয়দের হেনস্থা করে যাচ্ছে। এসব বখাটে যুবক প্রতিদিন আসে। পরে ঝরনাস্থলে বসায় মদের আসর। এরপর পর্যটকদের ঝরনায় প্রবেশ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না। প্রতিবাদ করলে তাদের মারধরও করা হয়। 

স্থানীয়দের অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার বিকেলে বখাটেরা মাদকাসক্ত হয়ে স্থানীয় রাসেল ও আবুল হাসেমকে বেধড়ক  মারধর করে। এসময় রাসেলের স্ত্রী রোখসানা আক্তার বাধা দিলে বখাটেরা তাকেও মারধর করেন। এ ঘটনার সময় কিছু পর্যটক দূর থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে আসে। এসময় তারা দেখেন ১০/১২ জন বখাটে যুবক এক নারীকে মারধর করছেন। পরে তারা ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বখাটেরা তাদের উপরও চড়াও হয়। কিন্তু অপ্রীতিকর ঘটনার আগেই ঘটনাস্থলে আসে কাউখালী থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানান, ঝরনা এলাকা থেকে মাতাল যুবকদের আটক করা হয়েছে। এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শনিবার থেকে ঝরনা এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়ছে। যদি কেউ যেতে চায় তাহলে ঘাগড়া সেনা জোনের অনুমতি নিয়ে যেতে পারবে।

অন্যদিকে, স্থানীয় বাঙালি নারীকে উপজাতি যুবকরা মারধরের এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।

বিডি প্রতিদিন/২২ জুলাই ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর